নোয়াখালীতে নতুন কূপে গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর আগুন জ্বালানো হয়েছে

নোয়াখালী জেলা

নোয়াখালীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে একটি নতুন কূপে গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর পরীক্ষামূলক আগুন জ্বালানো হয়েছে।

মোঃ সিফাত মাহামুদ

দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে গ্যাসের সংকট। পর্যাপ্ত গ্যাসের সরবরাহ না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে চলমান এ সংকট। তবে উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে আশার খবর পাওয়া গেছে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে। সেখানে একটি নতুন কূপে গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর পরীক্ষামূলক আগুন জ্বালানো হয়েছে। সোনাইমুড়ী উপজেলার ওয়াছেকপুর গ্রামে বেগমগঞ্জ–৪ নামের ওই গ্যাসক্ষেত্রের কূপটি খনন করা হয়। এটি গত ছয় মাসের মধ্যে নোয়াখালীতে গ্যাস অনুসন্ধানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এর দ্বিতীয় সাফল্য।

বাপেক্সের কর্মকর্তারা আশা করছেন, বেগমগঞ্জ-৪ নামের নতুন কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তার চেয়েও আশার দিক হলো এই কূপের চারটি স্তরেই গ্যাসের উপস্থিতি রয়েছে।

কূপটিতে ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া খননকাজ শেষ হয়ে ডিএসটি টেস্ট শেষে এখন চলছে সর্বনিম্ন স্তরের উৎপাদন টেস্ট। উৎপাদন টেস্ট শেষে জানা যাবে এখানে মজুত মোট গ্যাসের পরিমাণ। টেস্টিং কার্যক্রম শেষে মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। নতুন কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রায় তিন কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করতে হবে। এরই মধ্যে পাইপলাইন স্থাপনের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

গতকাল এ গ্যাস কূপটিতে আগুন জালানো হয়। এসময়ে কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ জানান, ‘একসময় গ্যাসকূপ খননের কাজে বিদেশি শ্রমিক ও কর্মকর্তারা যুক্ত থাকতেন। কিন্তু এখন তার পরিবর্তন হয়েছে। এ কূপ খননের সঙ্গে জড়িত প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই বাংলাদেশের। এটাও আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’ এছাড়াও এ কূপ থেকে বিপুল পরিমান গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে বলেও আশা করেন তারা।