রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৫টি হলে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মতিহার হল, মাদার বখ্শ হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া হলের দেয়ালে নানা চিহ্ন আঁকা হয়েছে।
রবিবার সকালে প্রথমে জিয়া হলে পোড়া কোরআন দেখতে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানায় হলের শিক্ষার্থীর। তাদের ধারণা শনিবার দিবাগত রাতে এগুলো পোড়ানো হয়েছে। তবে কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে এমনটি করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সৈয়দ আমীর আলী হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, সকালে হলের মুক্তমঞ্চে পোড়ানো কোরআন শরীফ দেখতে পাই। এরপর প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি বলেন, এটা ইচ্ছাকৃতভাবেই উস্কানিমূলক ঘটনা। কোনো একটি পক্ষ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হারুনর রশীদ বলেন, কোনো ধর্মের এমন অবমাননা সহ্য করার মতো নয়। হল প্রশাসন এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। যারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করা হবে।
এদিকে, এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবসহ প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করেছেন। পরে দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এক জরুরি প্রেস ব্রিফিং করেন তিনি।
এ সময় উপাচার্য জানান, ঘটনা তদন্তে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করার কথা জানান। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে এই কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন ও ৭ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটি গঠনের আগে উপাচার্য শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সাথেও একটি জরুরি সভা করেছেন।