দেশ

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ, ১৪৪ ধারা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে দ্বিতীয় দফায় জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে। একইসঙ্গে, অবরোধ চলাকালে সাধারণ মানুষের জানমাল ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুপুর ২টা হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত, মিছিল-মিটিং ও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কেউ আইন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

শহরের প্রবেশমুখ চেঙ্গী ব্রিজ ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা, চেঙ্গী স্কয়ার ও নারায়ণ খাইয়া মুখ এলাকায় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে অবরোধকারীরা। গাছের গুঁড়ি, ইট ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা, মহালছড়ি ও পানছড়ির অভ্যন্তরীণ সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রামগড়, মানিকছড়ি ও গুইমারা উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টেও পিকেটিং চলছে। এতে ঢাকা ও দূরপাল্লার নৈশকোচসহ বহু গাড়ি আটকা পড়েছে।

পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের নেতারা জানান, খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে পর্যটকবাহী যান চলাচল এখনো অনিশ্চিত। জেলার সঙ্গে দূরপাল্লার যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে শহরে সীমিত আকারে গণপরিবহন চলছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, 'বিভিন্ন স্থানে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করা হলেও তা সরিয়ে দিতে কাজ চলছে। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।'

গত মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় এক স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় বুধবার থেকে 'জুম্ম ছাত্র-জনতা' ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার আধাবেলা অবরোধ শেষে শুক্রবারের সমাবেশ থেকে আজকের পূর্ণদিবস অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।