সংগৃহিত ছবি।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই। পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের শহীদ সাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে সশস্ত্র বাহিনী, ময়মনসিংহ রেঞ্জের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভারত এখন কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে না। আমরা বলেছি, আগামী মাসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে ডিজি পর্যায়ে একটা মিটিং আছে। ওই মিটিংয়ে আলোচনা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের সাথে কিছু অসম চুক্তি করা হয়েছে। যেগুলো অসম চুক্তি আছে, সেগুলো কীভাবে সমস্যা সমাধান করা যায় এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠিও দিচ্ছি।’
ময়মনসিংহ রেঞ্জের অধীনে সকল পুলিশ ইউনিট, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব, বিজিবি, আনসার, কারা অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশের তদন্ত পুলিশেই করবে। এটা অন্য কোনো সংস্থার করার সুযোগ নেই। ট্রাইব্যুনালের তদন্তও পুলিশ বাহিনীই করবে। তিনি আশা করেন, আগের মতো পুলিশ যেন উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং তাদের কর্মদক্ষতা ফিরে পায়।’
উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, ‘এখন সারের কোনো সঙ্কট নেই। আর যদি কেউ সারের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আর যেসব ডিলাররা এর সাথে জড়িত হবে আগামী মাস থেকে তাদের ডিলারশিপ থাকবে না। কোনো অবস্থাতেই তাদের ছাড় দেয়া হবে না। তিনি কৃষকদের আশ্বস্ত করে বলেন, কৃষকরা অবশ্যই সার পাবেন এবং ন্যায্যমূল্য পাবেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসময় সত্য প্রকাশে সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘বিদেশী মিডিয়াগুলো অনেক সময় উল্টা-পাল্টা অনেক খবর প্রচার করত। কিন্তু আমাদের দেশের সাংবাদিকরা সত্যটা প্রকাশ করায় এখন বিদেশী মিডিয়া আর আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতে পারে না। এজন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সরকারের সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।’