ছবিতে নারী ডাকাতদের কয়েকজন। সংগৃহিত।

 
দেশ

৮ নারীর ডাকাতির প্রস্তুতি; অবশেষে শ্রীঘরে

গাজীপুরের সালনা থেকে শুক্রবার রাতে একটি হায়েস গাড়ি নিয়ে মির্জাপুরের সোহাগপুরে এসে একটি হিন্দু বাড়িতে ডাকাতির প্রস্ততি নিচ্ছিল বলে পুলিশ জানায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগে থেকেই খোঁজখবর নিয়েছিল ডাকাতদল। সনাতনী হিন্দু বাড়িতে ডাকাতি! শাঁখা-সিঁদুর না পড়লে কি হয়। নিজেদেরও তো বাঁচাতে হবে। ব্যাস্! পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতদলের ৮ জন নারী সদস্য রীতিমতো শাঁখা-সিঁদুর পড়ে ২ পুরুষ সহযোগীসহ একটি হাইয়েস মাইক্রোতে চেপে রওনা দেয় মির্জাপুরের সোহাগপুরে এসে একটি হিন্দু বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে।   

পুলিশ জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে গাজীপুরের সালনা থেকে ওই সংঘবদ্ধ ডাকাদতদলের রওনা হবার খবর পেয়ে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে একটি টহল দল মির্জাপুর হাইওয়েতে অপেক্ষা করে। এক পর্যায়ে সোর্সের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ওই হাইয়েস মাইক্রো পেয়েও যায় অপেক্ষমান পুলিশ। অভিযানে আটক করা হয় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ওই ১০ জনকে।     

ওই ডাকাতদলের সদস্যরা হলেন- সুরত মিয়া (৩৮), তাসলিমা (৩২), মো. সেলিম সরকার (৩৭), আসমা বেগম (৩০), মোছা. আলেয়া (৩৭), সোনিয়া আক্তার (২১), মোছা. রিফা আক্তার (২৬), আকলিমা বেগম (৪০), সেলিনা বেগম (৩২) ও জুলেখা বেগম (৩১)।

পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু সাংবাদিকদের জানান, আটককৃতরা গাজীপুরের সালনা থেকে শুক্রবার রাতে একটি হায়েস গাড়ি নিয়ে মির্জাপুরের সোহাগপুরে এসে একটি হিন্দু বাড়িতে ডাকাতির প্রস্ততি নিচ্ছিল। তিনি জানান, ডাকাত দলটির নারী সদস্যরা শাখা-সিঁদুর পরে সনাতন ধর্মাবলম্বী সেজেছিল।

পুলিশ সুপার জানান, অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের ব্যবহৃত হায়েস গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন বাড়িতে ডাকাতির আগে নানা তথ্য সংগ্রহ করে নিজেদের প্রস্তুত করে নিতেন আটককৃতরা। পরে কৌশলে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করতেন তারা। ডাকাতদলের নেপথ্যে জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মনির হোসেন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।