কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের পদ্মানদীর চরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন রাজু নামে এক যুবক।
গত সোমবার রাতে রাজুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করা হয়। রাজু আহত অবস্থায় দৌলতপুর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজু ওই ইউনিয়নের ফারাকপুর ভাঙ্গাপাড়া এলাকার ইব্রাহিম প্রামাণিকের ছেলে। নিহতের স্বজনরা জানান, একই গ্রামের মতলব কসাইয়ের ছেলে সজীব সোমবার রাত ৯টার দিকে রাজুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে রাত ১টার দিকে রাজুকে গুলি করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন জানতে পারে। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সজীব নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সজীবের কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, মাদক ব্যবসা এবং বালু মহলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, রাজুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা দাবি করেছেন, কয়েক দিন আগে রাজুর সাঈদ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সাঈদ বাহিনী চরাঞ্চলে বালু, অস্ত্র এবং মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। রাজু একসময় তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন, কিন্তু বর্তমানে তিনি তাদের সঙ্গে কাজ করতেন না।
এলাকার অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহত রাজু মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন এবং মাদক লুট করতে গিয়ে চোরাকারবারিদের হামলায় তার মৃত্যু হয়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানিয়েছেন, রাজু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি জানার পর রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তদন্ত চলছে এবং সজীবের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।