দেশ

সড়ক থেকে তুলে নিয়ে দুই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে দুই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মহসিন নামে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।

গতকাল সোমবার দুপুরে নাঙ্গলকোট থানায় গিয়ে ভুক্তভোগী ওই দুই নারী যুবদল নেতা মহসিন ও স’মিল মালিক খোকন মিয়াসহ ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।

সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরীদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ওই দুই নারীকে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে উপজেলার নূরপুর সেবাখোলা বাজারে খোকনের স’মিলের একটি কক্ষে আটকে রেখে দফায়-দফায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ও ভিডিও ধারণ করে।

অভিযুক্ত মহসিন উপজেলার নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জু মিয়ার ছেলে। কমিটি না থাকায় উপজেলায় তিনি যুবদল নেতা হিসেবে পরিচিত। অপর অভিযুক্ত স’মিলের মালিক খোকন মিয়া একই এলাকার করের ভোমরা গ্রামের বাসিন্দা আলী মিয়ার ছেলে।

ভুক্তভোগী নারীদের একজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর ও অপর জনের বাড়ি চাঁদপুরে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী দুই নারী বলেন, তাদের দুজনকে মহসিনসহ ১০-১২ জন মিলে একটি স’মিলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এর মধ্যে দুজন সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে। সবার মুখ দেখলেই চিনতে পারবো। সেখানে স’মিলের মালিকও ছিল। প্রথমে জোরপূর্বক অটো রিকশায় তুলে নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরাঘুরি করে। পরে জোর করে স’মিলের একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও করে। চিৎকার দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কয়েক বার ধর্ষণ করে। আমরা এ নির্যাতনের বিচার চাই।

অভিযুক্ত যুবদল নেতা মহসিন ও স’মিল মালিক খোকন মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে ওই দুজনকে একাধিকবার ফোন করলেও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, মহসিন যুবদলের কেউ না। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। সে যুবদলের হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, দুই নারী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।