নৃত্য ও অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করা কুষ্টিয়ার প্রতিভাবান শিশু প্রিতম সেন এবার নতুন এক ইতিহাস গড়ল। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হাফ ম্যারাথনে অংশ নিয়ে ৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছে সে। তার এই সাফল্য প্রমাণ করেছে, অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রম থাকলে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।
ম্যারাথন হলো পৃথিবীর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং প্রতিযোগিতা, যা শুধু শারীরিক শক্তির পরীক্ষা নয়, বরং মানসিক দৃঢ়তারও প্রতীক। এই প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশগ্রহণকারীদের সহ্যশক্তি, ধৈর্য ও মনোবল পরীক্ষা করা হয়। প্রতিটি দৌড়বিদকে দীর্ঘ প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যাতে তারা নির্দিষ্ট দূরত্ব সফলভাবে অতিক্রম করতে পারে। ছোটবয়সী অংশগ্রহণকারীদের জন্য এটি একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, যা জয় করতে হলে শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি মানসিক শক্তিও জরুরি।
সাধারণত শিশুরা ম্যারাথনের মতো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সাহস পায় না। তবে প্রিতম সেন তার আত্মবিশ্বাস, অধ্যবসায় ও সাহসের মাধ্যমে ৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা ও কঠোর পরিশ্রম তাকে এই সফলতায় পৌঁছে দিয়েছে।
দৌড়ের পুরো সময়জুড়ে প্রিতম দেখিয়েছে অবিশ্বাস্য ধৈর্য ও প্রতিশ্রুতি। দীর্ঘ পথচলায় ক্লান্তি এলেও সে থামেনি। একনিষ্ঠ মনোযোগ ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।
প্রিতমের এই অর্জনে তার পরিবার, শুভাকাঙ্ক্ষী ও স্থানীয়রা অত্যন্ত আনন্দিত। তার বাবা-মা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই প্রিতম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি শারীরিক ফিটনেসের দিকেও নজর দিয়েছে। ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করা তার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা, যা সে সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
প্রিতম সেনের এই অর্জন শুধু একটি পদক্ষেপ নয়, বরং তার স্বপ্নপূরণের পথে আরেকটি বড় ধাপ। নাচ ও অভিনয়ের পাশাপাশি এবার ক্রীড়াক্ষেত্রেও নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছে সে। ভবিষ্যতে আরও বড় বড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে প্রিতম।
ক্রীড়া বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোট বয়স থেকেই দৌড় বা শারীরিক কসরত করার অভ্যাস শিশুকে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। তাই প্রিতমের মতো আরও শিশুদের এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া উচিত।
প্রিতম সেনের এই সাফল্যে কুষ্টিয়াসহ সারা দেশের মানুষ গর্বিত। তার এই পথচলা আরও সুন্দর হোক, সে নতুন নতুন উচ্চতায় পৌঁছাক এটাই সবার প্রত্যাশা।