ছবিতে অনন্ত জলিল।

 
দেশ

প্রতারনার মামলায় চিত্রনায়ক ও গার্মেন্টস মালিক অনন্ত জলিলকে সমন

সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ সমন জারি করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতারনার মামলায় চিত্রনায়ক ও পোশাক কারখানা মালিক অনন্ত জলিল (এম এ জলিল) এবং অপর পাঁচজনকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ সমন জারি করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজিব মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

অনন্ত জলিল ছাড়াও এ মামলায় আরও রয়েছেন পোলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহানারা বেগম, ফাইন্যান্স পরিচালক মো. শরীফ হোসাইন, সহকারী ব্যবস্থাপক সাকিবুল ইসলাম, সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার মো. মিলন এবং বাজেট এন্ড অডিট শাখার হেড অফ কস্ট শহিদুল ইসলাম।

সাভারের বিরুলিয়ার পোশাক কারখানা মালিক শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী বাদী হয়ে গত বছর ওই মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলে তদন্ত শেষে গত ২৩ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডিত দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কম্পানির নামে ব্যবসায়ী শাফিল নাওয়াজের কাছে পোশাক তৈরির অর্ডার দেন। এরপর শাফিল কাজ শুরু করে টাকা চান। কিন্ত অভিযুক্তরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং ঋণপত্র বা এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরবর্তীতে তারা আরো কাজের অর্ডার দেন। ওই বছরেই মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ সম্পন্ন করে আসামিদের বুঝিয়ে দেন।

২০২৩ সালের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অভিযুক্তরা শাফিলের নামে একটি এলসি করেন। শাফিল টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় টাকা ওঠাতে ব্যর্থ হন। শাফিল চুক্তি অনুযায়ী অনন্ত জলিলের কোম্পানির প্রায় ২৯ হাজার ২০০ ডলারের কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে দাবী করেন। কিন্ত অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানি এক টাকাও পরিশোধ করেনি।