সরিষা ক্ষেতে অভিনব রেস্টুমেন্ট

 
নেত্রকোনা জেলা

সরিষা ক্ষেতে মিন্টুর অভিনব রেস্টুরেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

নেত্রকোণা সদর উপজেলার পাবিয়াজুর গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু মিয়া। দীর্ঘ ১২ বছর দুবাই ও ব্যাঙ্গালুরুতে সুপার শপে কাজ করেছেন। কিন্তু করোনা মহামারিতে ফিরে আসে আর ফিরে যাননি বিদেশের মাটিতে। দেশের আসার পর প্রথমে বাড়ির পাশে শুরু করেন মুদির দোকান। কিন্তু মাথায় আসা তার ভিন্ন ভাবনা থেকে সরিষা ক্ষেতে একটি রেস্টুরেন্ট করেন। তার এমন অভিনব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উদ্যোগ আলোড়ন তোলে এলাকায়। প্রসার ঘটতে থাকে। আর এর মাধ্যমে মাসে আয় করছেন প্রায় ৩ লাখ টাকা।

নিজে আয় করার পাশাপাশি অন্যদেরও হয়েছে কাজ করার সুযোগ। সেই সাথে দর্শনার্থীরা চায়ের চুমুকের সঙ্গে উপভোগ করছেন সরিষা ফুলের সৌন্দর্য।

রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে হলুদ সরিষা ফুলের গালিচা! এর মাঝেই দর্শনার্থীদের ভিড় জমিয়ে দিচ্ছেন আড্ডা, ফুলের সৌন্দর্যের পাশাপাশি উপভোগ করছেন রেস্টুরেন্টের খাবার। এমন দৃশ্য দেখে হয়তো ভাবছেন সরিষা খেতের মাঝে রেস্টুরেন্ট নাকি রেস্টুরেন্টের পাশে সরিষা খেত? মূলত, সরিষা খেতকেই রেস্টুরেন্ট বানিয়ে ফেলেছেন প্রবাসফেরত মিন্টু মিয়া।

শুরুতে তার এমন পরিকল্পনা শোনার পর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা হাসাহাসি করলেও, মিন্টু থেমে থাকেননি। কাজ শুরু করেন নিজের জমিতে। সরিষা খেতের মাঝখানে চেয়ার, টেবিল, আর ছাতা দিয়ে তৈরি করেন ভিন্ন এক রেস্টুরেন্ট।

সরিষাখেতের মাঝে রেস্টুরেন্টের এই চিত্র ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। এখন প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছেন নানা বয়সী মানুষ।

মিন্টু জানান, প্রতিদিন তার রেস্টুরেন্ট থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। তার আত্মীয়স্বজনরাও এখানে কাজ করছেন, ফলে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি এই রেস্টুরেন্টকে আরও বড় আকারে চালানোর পরিকল্পনা করছেন।

সরিষার খেতে রেস্টুরেন্ট বানানোর ভাবনা হয়তো সবার কাছে প্রথমে অদ্ভুত লেগেছিল। কিন্তু এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেখিয়েছে, একটু আলাদা ভাবে ভাবলেই নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।