মৌলভীবাজারে শমসেরনগর চা-বাগান শ্রমিকের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে নিখোঁজ হবার ১৫ ঘন্টা পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় লাশের গলা কাটা ও ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। ঘটনার শিকার ১১ বছর বয়সী কিশোরী পূর্ণিমা রেলি ওই চা-বাগানের ৬ নম্বর টিলার আপ্নান রেলির মেয়ে।
পূর্ণিমা শমসেরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় শমসেরনগর চা-বাগানের ক্যামেলিয়া লেকের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যার আগে শমসেরনগর চা-বাগানের আপ্নান রেলির মেয়ে পূর্ণিমা রেলি পালিত গরু মাঠ থেকে আনতে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পর সে বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন রাতভর খোঁজাখুঁজি করে তাকে কোথাও খুঁজে পায়নি।
বৃহস্পতিবার ফের পরিবার ও স্থানীয় চা শ্রমিকরা খোঁজ শুরু করলে এক পর্যায়ে শমসেরনগর চা-বাগানের ১১ নম্বর সেকশনের ক্যামেলিয়া লেকের দুই টিলার চা-গাছের নিচে পূর্ণিমা রেলির গলা ও হাতের ডান কবজি কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালে শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রতন কুমার হালদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পূর্ণিমার লাশ উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় চা-বাগানে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
দুপুরে সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) আনিসুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর, ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শমসেরনগর চা-বাগানের সাবেক ইউপি সদস্য সিতারাম বিন বলেন, ‘পরিবারটি অত্যন্ত গরিব। মেয়েটি লেখাপড়া করত। সে শমসেরনগর চা-বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ শিশুটিকে কেন হত্যা করা হলো তা কেউ ভেবে পাচ্ছে না। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত আটকের দাবি জানাচ্ছি।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ জোর তদন্ত করছে।