সুনামগঞ্জ জেলা

এই গ্রামে গান বাজনা নিষিদ্ধ, নির্দেশ না মানলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা

চিকসা গ্রামের ইউপি সদস্য শফিকুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের গ্রামটি সদর ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় গ্রাম। গ্রামে হিন্দু মুসলিম দুই ধর্মের লোক বাস করে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে উচ্চ সাউন্ডে গান বাজনা করার ফলে রোগী, বৃদ্ধ ও শিশুদের সমস্যা হয়। এ ছাড়া ইসলাম ধর্মে গান বাজনা নিষিদ্ধ  উল্লেখ করে গ্রামের সভায় গান বাজনা না বাজানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চিকসা গ্রামে। তবে এই বিষয়ে গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। 

বিয়ে-জন্মদিন বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে গান-বাজনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ গ্রামে গান-বাজনা করলে তাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ নিয়ম চালু করেছেন উপজেলা সদরের চিকসা গ্রামের মাতাব্বররা। (১৮ আগস্ট) থেকে এই নিয়ম চালু করা হয়।

চিকসা গ্রামের ইউপি সদস্য শফিকুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের গ্রামটি সদর ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় গ্রাম। গ্রামে হিন্দু মুসলিম দুই ধর্মের লোক বাস করে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ মুসলিম পরিবার বাস করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বড় বড় সাউন্ড বক্স বাজিয়ে গ্রামের মানুষ বিয়ে-জন্মদিন বা সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠান পালন করে।

এতে করে হার্টের রোগী, বৃদ্ধ ও শিশুদের অনেক কষ্ট হয়। গ্রামের সম্মানিত মাতাব্বরদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে অনুষ্ঠানে গান বাজনা নিষিদ্ধ বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেউ যদি না মানে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা শুধু মুসলিম পরিবারের জন্য কার্যকর হবে। আর এই গ্রামে বসবাসকারী হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাইদের জন্য এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুনাব আলী জানান, উচ্চ শব্দে গান বাজনা করলে অনেকেরই সমস্যা হয়। তাছাড়া উচ্চ শব্দে গান বাজনা আইনগত ভাবেও বাধ্যবাধকতা আছে। চিকসা গ্রামের মাতাব্বরগণ গান বাজনা নিষিদ্ধ করেছেন। এটি একটি সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। চিকসা গ্রাম একটি বড় গ্রাম। এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ মুসলিম। এবিষয়ে কারো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। এখন পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।