চলতি অর্থবছরে সরকারের আর্থিক ঘাটতি আরও বেড়ে যাবে। তবে ঋণ নিলেও সার্বিকভাবে জিডিপির অনুপাতে বৈদেশিক ঋণ হ্রাস পাবে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে প্রকাশিত ফিসক্যাল মনিটর প্রতিবেদনে এমন পূর্ভাবাস দিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটির মতে রাজস্ব আয় কম হওয়ায়, গত অর্থবছরে ভোক্তার জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরকারের ব্যয় কমে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলে আগামী অর্থবছরের বাজেট তৈরি করবে নির্বাচিত সরকার। এতে ভোক্তার জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে খরচ বাড়াবে এবং তা জিডিপির ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
এর আগে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সার্বিক ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল জিডিপির ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ওই ঘাটতি কমলেও চলতি অর্থবছরে সরকারের সার্বিক ঘাটতি আরও বেড়ে জিডিপির ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হবে। আগামী অর্থবছরে এ ঘাটতি আরও বেড়ে সাড়ে ৪ শতাংশে দাঁড়াবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের ব্যয়, দক্ষিণ এশিয়ার তুলনায় তা সর্বনিম্নে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে চড়া মূল্যস্ফীতির হারে এগিয়ে রয়েছে।