প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ওপর বিদেশি ঋণ গ্রহণের ওপর সীমা আরোপ করলো, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। শর্ত অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে ৮৪৪ কোটি ডলারের বেশি বিদেশি ঋণ নিতে পারবে না বাংলাদেশ।
গত জুনে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১৩৪ কোটি ছাড়ের পর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট প্রকাশ করে আইএমএফ। ওই প্রতিবেদনে পরবর্তী কিস্তি পেতে দেওয়া বেশ কিছু শর্তের মধ্যে এটি অন্যতম।
প্রতি প্রান্তিকে কী পরিমাণ ঋণ নেওয়া যাবে, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ত্রৈমাসিকে সর্বোচ্চ ১৯১ কোটি, ছয় মাসে ৩৩৪ কোটি, ৯ মাসে ৪৩৪ কোটি এবং পুরো অর্থবছরে ৮৪৪ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ নেওয়া যাবে। আইএমএফ প্রতি তিন মাসে বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
গত অর্থবছরে সরকার ৮৫৭ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ নিয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইতে বিদেশি ঋণ নিয়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ডলার। আইএমএফের শর্ত পূরণে গত অর্থবছরের তুলনায় এ অর্থবছরে সরকারকে কিছু কম বিদেশি ঋণ নিতে হবে। আইএমএফ ২০২৩ সালে যখন ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে, তখন এমন শর্ত ছিলো না।