অর্থনীতি

চার ব্যাংক থেকেই অর্থ লোপাট করে এস আলম গ্রুপ: দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, এস আলম গ্রুপের ব্যাংক লুটের ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে, পর্যায়ক্রমে নেয়া হবে পদক্ষেপ। চার ব্যাংক থেকেই এস আলম গ্রুপ অর্থ লোপাট করেছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিক এসব তথ্য জানান তিনি।

চার ব্যাংক থেকেই এস আলম গ্রুপসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ১ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে পাওয়া নথি ঘটে এমন তথ্য পেয়েছে দুদক। আর সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, এস আলম গ্রুপের ব্যাংক লুটের ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে, পর্যায়ক্রমে নেয়া হবে পদক্ষেপ।

গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ জমা হতে থাকে দুদকে। এসব অভিযোগে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুটপাট করে দেশের আর্থিক খাতকে ভঙ্গুর দশায় পরিণত করে এস আলম গ্রুপ।

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলো নামে-বেনামে লুটপাটের ঘটনার অনুসন্ধান করছে দুদক।

এরইমধ্যে বিএফআইইউ থেকে পাওয়া নথি বিশ্লেষণ করে দুদকের তথ্য বলছে, ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৩ হাজার কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩৯ হাজার কোটি টাকা ও ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণ মিলেছে। এসব নিয়ে টাস্কফোর্সের পাশাপাশি দুদকের একাধিক টিম কাজ করছে।

মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, পর্যায়ক্রমে সবগুলো অভিযোগের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে পদক্ষেপ নেয়া হবে। দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলে কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

এদিন সাড়ে ৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১২০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজম মুকুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া, প্রায় ৫৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শামসুর রহমানের বিরুদ্ধেও।