বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। মাঝে সময় মাত্র পাঁচ দিন। এর মধ্যে সমঝোতা না হলে বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসাবে যুক্তরাষ্ট্র। এতে তৈরি পোশাক শিল্পসহ দেশের রপ্তানি খাতে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে পরিত্রাণের কৌশল হিসেবে সামনে এসেছে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা। চলমান শুল্ক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ উচ্চমূল্যের পণ্য কেনার কৌশল নিচ্ছে। এই ‘স্ট্র্যাটেজিক ডিল’ শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটনের মন জয়ে একটি কার্যকর ‘ট্রাম্পকার্ড’ হিসেবে কাজ করতে পারে বলে মনে করছেন নীতিনির্ধারকরা।
২৫ বোয়িং কিনে শুল্কছাড়ের উদ্যোগ
ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের মতো ‘বোয়িং কার্ড’ খেলে শুল্ক সমঝোতার পথে হাঁটছে বাংলাদেশও। রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা করছে, যার মধ্যে মার্কিন বোয়িংয়ের নামও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৫টি বোয়িং কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আমরা কী কী পণ্য কিনব, যেমন, এয়ারক্রাফট, তুলা, সয়াবিন, গম এসব বিষয় বাংলাদেশ থেকে দেওয়া ডকুমেন্টগুলোতে উল্লেখ করেছি।
বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসন ইন্দোনেশিয়ার বিষয়ে জানিয়েছে, তাদের ওপর ১৯ শতাংশ শুল্ক ধার্য করবে। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্কের বিষয় উল্লেখ করে চুক্তি হতে পারে। আমরাও প্রত্যাশা করছি, ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ১৮ থেকে ২০ শতাংশের মতো শুল্ক নির্ধারণ করা হতে পারে বা এর চেয়ে কমও হতে পারে। আগামী ২৯ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল মিটিংয়ের জন্যই অপেক্ষা করছি। এই কয় দিনের মধ্যে সে রকম প্রস্তাব আসতে পারে—এমন প্রত্যাশাও রয়েছে আমাদের।’