ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো আশঙ্কা দেখছেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাবির ভিসি বলেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে ডাকসু নির্বাচন সাজানো হয়েছে। সারাদিন ভোটগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে এখন গণনার কাজ করছি।’
ছাত্রদলের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণ শেষে জানতে পারলাম গেটের বাইরে কিছু লোক সমাগম হচ্ছে। এর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা নিরাপত্তা জোরদার করেছে।’
লোকসমাগেরে ক্ষেত্রে পুলিশ ও প্রশাসন পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না, তার খবর নেয়া হবে বলেও জানান নিয়াজ আহমেদ।
‘ডাকসু শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। আমরা এটি আয়োজন করেছি তাদের প্রতি সম্মান রেখে। ডাকসু গণ-অভ্যুত্থানের মুল মূল্যবোধের স্মারক। এই নির্বাচন আয়োজনের বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়েছি অভ্যুত্থানকে সম্মান জানানোর একটি উপায় হিসেবে,’ যোগ করেন ঢাবি ভিসি
ভোটগ্রহণের সময় দু-তিনটি ক্ষুদ্র ঘটনা ছাড়া কোনো মেজর অভিযোগ আসেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব অভিযোগ এসেছে প্রতিটির জন্য নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে। সেইসঙ্গে তারা কী পদক্ষেপ নেবে সেটি ঘোষণা করবে।’
ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ছাত্রদলের অভিযোগের বিষয়ে নিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ও সাংবাদিকরা ছিলেন। সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সংখ্যক বুথের প্রতিটি পদক্ষেপ আগাম ঘোষণা দিয়ে করা হয়েছে। গণনার পর্বেও সাংবাদিকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে। যখন গণনার কাজ চলবে, তখন বুথের বাইরে মনিটরে তা দেখা যাবে। এই অবস্থায় ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো আশঙ্কা আমি দেখছি না। যদি কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশকে প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছি।’
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নন দাবি করে ঢাবি ভিসি বলেন, ‘রাজনীতির প্রতি আমরা আগ্রহ শূন্য। আমি যেকোনো মতামতকে সম্মান করি। ছাত্রদল যেসব অভিযোগ জানিয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনকে জানাবো।’