স্বাস্থ্য

বয়সের সঙ্গে বাড়ছে ঝুঁকি: বয়স্কদের ডায়াবেটিস ও অস্থি স্বাস্থ্য

বয়স্কদের স্বাস্থ্যে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও অবহেলা হুমকি হয়ে উঠছে। ডায়াবেটিস ও অস্থি সমস্যার আগেই সচেতনতা জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পেশি, হাড় ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায়। এই সময়ে ডায়াবেটিস এবং অস্থি স্বাস্থ্য সমস্যা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ও সামাজিক জীবনেও প্রভাব ফেলে। নিয়মিত পরীক্ষা, সুষম খাদ্য, ব্যায়াম ও সচেতন জীবনধারা ছাড়া এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

১) বয়স্কদের ডায়াবেটিস: অচেনা হুমকি

টাইপ: শরীর ইনসুলিন ঠিকমত ব্যবহার করতে পারে না।

লক্ষণসমূহ: ক্লান্তি, বারবার প্রস্রাব, অতিরিক্ত ক্ষুধা।

জটিলতা: চোখ, কিডনি, হার্টে সমস্যা।

পরামর্শ:

  • নিয়মিত রক্তের সুগার পরীক্ষা

  • চিনি ও তেলের পরিমাণ সীমিত রাখা

  • হালকা ব্যায়াম- হাঁটা, যোগা

  • ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ নেওয়া

২) অস্থি স্বাস্থ্য: হাড়ও কি ভাঙে?

হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়, ফলে হিপ, কনুই বা কোমরের হাড় ভাঙার ঝুঁকি।

পেশিতে দুর্বলতা, দৈনন্দিন কাজেও অসুবিধা।

প্রতিরোধ ও যত্ন:

  • ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য- দুধ, দই, মাছ, সবজি

  • হালকা ওজন বহন ব্যায়াম: হাঁটা, লাইট ওয়ার্কআউট

  • পর্যাপ্ত সূর্যালোক: ভিটামিন ডি উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে

  • নিয়মিত অস্থি ঘনত্ব পরীক্ষা

৩) জীবনধারার পরিবর্তন ও দৈনন্দিন অভ্যাস

  • ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে চলা

  • পর্যাপ্ত ঘুম: ৭–৮ ঘণ্টা

  • মানসিক চাপ কমানো: মেডিটেশন, হালকা ব্যায়াম, সামাজিক মিলন

  • স্বাস্থ্য রেকর্ড রাখা: ব্লাড প্রেসার, সুগার, ওজন, অস্থি স্বাস্থ্য

৪) পরিবারের দায়িত্ব ও সামাজিক সহায়তা

  • স্বাস্থ্য চেকআপে সহযোগিতা

  • পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা

  • ব্যায়াম ও হালকা হাঁটার জন্য উৎসাহ দেওয়া

  • সামাজিক ও মানসিক সমর্থন নিশ্চিত করা

  • কুইক টিপস বক্স: সুস্থ বয়স্কদের জন্য দৈনন্দিন রুটিন

  • প্রাতঃকালীন: ১৫-২০ মিনিট হালকা হাঁটা

  • খাবার: দুধ/দই, সবজি, মাছ, সীমিত চিনি

  • পানীয়: পর্যাপ্ত পানি, গরম চা/হালকা লেবুর পানি

  • রাত: পর্যাপ্ত ঘুম, হালকা স্ট্রেচিং

  • সপ্তাহে একবার: স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ওজন মাপা

চূড়ান্ত পরামর্শ:

বয়স্কদের স্বাস্থ্য মানে শুধু দীর্ঘায়ু নয়, গুণগত জীবন নিশ্চিত করা। ডায়াবেটিস ও অস্থি স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে, শারীরিক ও মানসিক জীবনকে স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। সঠিক খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, পরীক্ষা ও পরিবারিক সহযোগিতা, এসবই বয়স্কদের সুস্থ জীবনধারার মূল চাবিকাঠি।