আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার বিরল খনিজ চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে অস্ট্রেলিয়ার বিরল ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ খাতে আর্থিক সহায়তা মিলছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের বাজারে আধিপত্য ভাঙতে এবং সরবরাহ শৃঙ্খল পরিবর্তনের জন্য আরও অনেক সময় লাগবে।

সোমবার একটি বিস্তৃত চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া মাইনিং ও প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্পে মিলিতভাবে ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি বিরল খনিজের জন্য একটি ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই বিনিয়োগ অস্ট্রেলিয়ায় ৫৩০ কোটি ডলারের সমমূল্যের খনিজ সম্পদ উন্মোচন করবে।

ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এক বছরের মধ্যে আমাদের এত বিরল খনিজ থাকবে যে আপনি কী করবেন জানবেন না।’

বিশ্বের খনি বিশেষজ্ঞরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও তারা ট্রাম্পের সময়সীমা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষক ড্যান মরগান জানান, ২০২৭ সালের আগেই প্রকল্পগুলো চালু করা প্রায় অসম্ভব। বিরল খনিজ শিল্পে দ্রুত কোনো পরিবর্তন আশা করা অনৈতিক। তিনি বলেন, ‘৫-৭ বছরের মধ্যে সরবরাহ বৃদ্ধি হতে পারে।’

বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ বিরল খনিজ পরিশোধন ক্ষমতা চীনের নিয়ন্ত্রণে। এছাড়া তারা ৬৯ শতাংশ খনি এবং ৯৮ শতাংশ চুম্বক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করছে। চীনা প্রক্রিয়াকরণ কম খরচে ও প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ।

বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্ররা চীনের প্রভাব কমাতে চাচ্ছে। এপ্রিলে ও মে-তে চীন বিভিন্ন বিরল খনিজ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল, যা বিশ্বব্যাপী গাড়ি প্রস্তুতকারকদের প্রভাবিত করেছিল।

অস্ট্রেলিয়ার খনিতে এই চুক্তি বিনিয়োগ আকর্ষণ বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক সাতটি প্রকল্পে ২.২ বিলিয়ন ডলারের চিঠি দিয়েছে। Arafura Rare Earths-এর সিইও ড্যারিল কুজুবো বলেন, ‘এটি আমাদের এবং শিল্পের জন্য ভালো।’ কোম্পানি ২০২৯ সালে উৎপাদন শুরু করতে চাচ্ছে।

সংক্ষেপে, এই চুক্তি অস্ট্রেলিয়ার খনিজ শিল্পকে সহায়তা দিচ্ছে, কিন্তু চীনের প্রভাব কমানোর ক্ষেত্রে তা বড় পরিবর্তন আনবে না।

সূত্র: রয়টার্স