আন্তর্জাতিক

গাজা ফ্লোটিলা রক্ষায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ইতালি ও স্পেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজার ওপর ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের একতরফা অবরোধ ভাঙতে সারা পৃথিবী থেকে মানবাধিকার কর্মীরা ছোট ছোট নৌকা ও জাহাজ নিয়ে নিয়মিত ছুটে যান গাজা উপত্যকার দিকে। তাদের সঙ্গে থাকে অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য খাবার, ওষুধ ও কাপড়চোপড়। তবুও তাদেরকে ঘেঁষতে দেওয়া হয় না গাজার আশেপাশে।

ত্রাণবাহী নৌকা-জাহাজগুলোকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় বারবার আটকে দেয় ইসরায়েলি সেনারা। শুধু তাই হয়, হামলা চালায় বেসামরিক সমাজকর্মীদের ওপর। গাজার দিকে যাওয়া এখনকার ত্রাণবাহী জাহাজগুলোর ওপর ড্রোন হামলার অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।

আজ বৃহস্পতিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ড্রোন হামলার পর গাজা ফ্লোটিলা রক্ষায় ভূমধ্যসাগরে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে ইতালি ও স্পেন।

এতে বলা হয়, ড্রোন থেকে 'ফ্ল্যাশব্যাং' বিস্ফোরক ফেলার পর ফ্লোটিলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গতকাল স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানান, তার দেশের যুদ্ধজাহাজ ইতালির জাহাজগুলোর সঙ্গে যোগ দেবে। তারা 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে' সুরক্ষা দেবে। আন্তর্জাতিক জলসীমানায় ত্রাণবাহী নৌযানগুলোতে হামলা হয়েছে। তাই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দেওয়া সানচেজ সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক আইনকে অবশ্যই শ্রদ্ধা করতে হবে। ত্রাণ মিশনে যোগ দেওয়া ৪৫ দেশের নাগরিকদের ভূমধ্যসাগরে জাহাজ ভাসানোর অধিকার আছে।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার কার্তাজেনা থেকে যুদ্ধজাহাজ রওনা দেবে। ফ্লোটিলাকে সহযোগিতা করতে যেসব উপকরণ দরকার সেগুলো জাহাজে থাকবে। জাহাজটি উদ্ধার কাজও করবে।

ফ্লোটিলায় ড্রোন হামলার সংবাদের পর ইতালির নৌবাহিনী জানায় যে তাদের একটি ফ্রিগেট সেখানে যাবে। ফ্লোটিলা থেকে কাউকে উদ্ধারের দরকার হলে তারা তা করবে।

ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রসেত্তো গাজা ফ্লোটিলায় ড্রোন হামলার নিন্দা করার পর যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ঘোষণা আসে।

ইতালির বিরোধী বামপন্থি দলের দুই আইনপ্রণেতা গাজা ফ্লোটিলায় অবস্থান করছেন। মানবাধিকারকর্মীদের এসব ফ্লোটিলায় ৫০টির মতো ত্রাণবাহী নৌযান আছে। তারা গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে চান।

ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়েছে, ফ্লোটিলায় অংশ নেওয়া নাগরিকদের রক্ষার বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইসরায়েলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে। তাদেরকে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।