আন্তর্জাতিক

শান্তি বা শক্তি যে কোনো উপায়েই ইউক্রেনে লক্ষ্য অর্জনের হুমকি পুতিনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন শান্তির বিষয়ে কোনো তাড়াহুড়ো দেখাচ্ছে না। কিয়েভ যদি শান্তিপূর্ণভাবে সংঘাতের অবসান চায় না, তাহলে মস্কো শক্তি প্রয়োগ করেই ইউক্রেনে তার সব লক্ষ্য অর্জন করবে।

শনিবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসকে দেওয়া পুতিনের এই বক্তব্য আসে ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর। হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এই আক্রমণের মাধ্যমে রাশিয়া প্রমাণ করেছে যে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়, অথচ কিয়েভ শান্তি চায়।

জেলেনস্কি রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফ্লোরিডায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। প্রায় চার বছর আগে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের মাধ্যমে রাশিয়া যে যুদ্ধ শুরু করেছিল, তার একটি সমাধান খোঁজার লক্ষ্যেই এই বৈঠক।

পুতিনের মন্তব্য নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হোয়াইট হাউস কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

ক্রেমলিন টেলিগ্রাম অ্যাপে জানায়, এক পরিদর্শন সফরে রুশ সামরিক কমান্ডাররা পুতিনকে জানিয়েছেন যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলের মিরনোহরাদ, রোদিনস্কে ও আরতেমিভকা শহর দখল করেছে রুশ বাহিনী। পাশাপাশি জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের হুলিয়াইপোল ও স্তেপনোহিরস্কও তাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করা হয়।

তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী হুলিয়াইপোল ও মিরনোহরাদ দখলের রুশ দাবিকে ‘ভুয়া তথ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, উভয় এলাকায় পরিস্থিতি ‘কঠিন’ হলেও ইউক্রেনীয় সেনারা এখনো প্রতিরক্ষামূলক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড টেলিগ্রামে জানায়, হুলিয়াইপোলে ‘তীব্র লড়াই’ অব্যাহত রয়েছে। তবে শহরের একটি বড় অংশ এখনো ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উভয় পক্ষের যুদ্ধক্ষেত্র সংক্রান্ত দাবির সত্যতা যাচাই করা কঠিন। কারণ, দুই দিকেই প্রবেশাধিকার সীমিত, তথ্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং ফ্রন্টলাইন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। ফলে গণমাধ্যমকে আংশিক বা বিলম্বিত স্যাটেলাইট ছবি ও ভূ-অবস্থানভিত্তিক ফুটেজের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।