থাইল্যান্ডে আবারও পরিবর্তন এলো ক্ষমতার শীর্ষ পদে। ব্যবসায়ী ও ধনকুবের অনুতিন চার্নভিরাকুলকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। এর আগে আদালতের রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা পদচ্যুত হন।
অনুতিনের ভুমজাইথাই পার্টি সিনাওয়াত্রাদের দল ফিউ থাই নেতৃত্বাধীন জোট থেকে সরে এসে সংসদে পর্যাপ্ত সমর্থন আদায় করে নেয়। এর মাধ্যমে তিনি প্রধানমন্ত্রীর আসন দখল করেন।
তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটেনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে থাইল্যান্ডে একের পর এক সরকার আদালতের রায় বা সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে।
এই পরিবর্তন সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য বড় ধাক্কা। ২০০১ সালে পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে থাই রাজনীতিতে পরিবারটির আধিপত্য ছিল স্পষ্ট।
বৃহস্পতিবার রাতে থাকসিনকে বহনকারী ব্যক্তিগত বিমান দেশ ছাড়ার পর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য দুবাই গেছেন। তবে ৯ সেপ্টেম্বরের আদালতের শুনানিতে হাজির হতে তিনি দেশে ফিরবেন। ওই মামলায় তার কারাগারে ফেরার ঝুঁকি রয়েছে।
অতীতে সিনাওয়াত্রাদের জনমুখী নীতি নিম্নআয়ের জনগণের সমর্থন পেলেও, এসব নীতি ব্যাংককের রক্ষণশীল রাজতন্ত্রী অভিজাতদের সঙ্গে সংঘাত বাড়ায়।
থাকসিন ও তার বোন ইংলাক উভয়েই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে ২০০৬ ও ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে তারা ক্ষমতাচ্যুত হন।
পেতংতার্নের প্রধানমন্ত্রী হওয়াকে পরিবারটির প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখা হয়েছিল। কিন্তু তার অপসারণ আবারও প্রমাণ করল, রক্ষণশীল-রাজতন্ত্রী অভিজাতদের আস্থা তারা হারিয়েছে।