ফিলিস্তিনের গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার আটক স্বেচ্ছাসেবকদের ইসরাইলের আসদোদ বন্দরে নেয়া হচ্ছে। আগামী ২ ঘন্টার মধ্যে তারা বন্দরে পৌঁছাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ইসরাইলি নৌবাহিনী এখনও নৌবহরের বাকি জাহাজগুলোকে আটকানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নৌবহর থেকে আটক স্বেচ্ছাসেবকরা ‘নিরাপদ ও সুস্থ’ আছেন। আটককৃতদের ইউরোপে ‘নির্বাসন প্রক্রিয়া’ শিগগিরই শুরু হবে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত ৪৪টি জাহাজের ২১টি আটক করেছে ইসরাইল। বাকি জাহাজগুলো গাজার দিকে এগিয়ে চলেছে। তবে জাহাজগুলোর সাথে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা বাধা বা হয়রানি এড়াতে প্রোটোকল অনুযায়ী তাদের ফোন ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে রওনা দেয়া নৌবহর বুধবার (০১ অক্টেবার) স্থানীয় সময় রাতে ইসরাইলি বাধার মুখে পড়ে। বহরের বেশ কয়েকটি জাহাজ থামিয়ে তাতে উঠে পরে নৌ-সেনারা। বন্ধ করে দেয়া হয় নৌযান থেকে চলা সরাসরি সম্প্রচার।
পরে নৌযানে থাকা মানবাধিকার কর্মীদের আটক করে সেখানেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটকদের মধ্যে আছেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আটকদের ইসরাইলের একটি নৌ বন্দরে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে ফ্লোটিলা নৌবহরকে বাধা দেয়া ও বেশ কয়েকজনকে আটকের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তুরস্ক এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আর ব্রিটিশ লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিন এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন।