ট্রাম্প যদি ১০০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি থেকে সরে না আসেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গত সপ্তাহে বিরল খনিজ (রেয়ার আর্থ) পদার্থের ওপর চীন রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর, শুল্কারোপ নিয়ে নতুন হুমকি দেন ট্রাম্প।
দুই পক্ষের ক্রমবর্ধমান এই উত্তেজনা তাদের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনায় কয়েক মাসের অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে পারে বলেও ধারণা করছেন অনেকে।
ট্রাম্পের হুমকি নিয়ে রোববার (১২ অক্টোবর) চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, উচ্চ শুল্কের হুমকির আশ্রয় নেয়া চীনের সাথে যোগাযোগের সঠিক উপায় নয়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি একতরফাভাবে কাজ করতে থাকে, তাহলে চীন তার বৈধ অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য দৃঢ় ব্যবস্থা নেবে। শুল্ক যুদ্ধের বিষয়ে আমাদের অবস্থান অবিচল - আমরা এমনটি চাই না, তবে আমরা এত ভয়ও পাই না।
এদিকে, বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা দ্রুত বৃদ্ধির ফলে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিনিয়োগকারীরাও আতঙ্কে আছেন।
এ ঘটনা দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনায় নতুন অনিশ্চয়তাও যোগ করেছে।
ট্রাম্প এবং চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের দুই সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি বহুল প্রত্যাশিত বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প এরইমধ্যে রেয়ার আর্থ ইস্যুর উদ্ধৃতি দিয়ে, সেই বৈঠক হওয়ার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
পিছু হটছে না বেইজিংও, বরং মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াশিংটনকে ‘তাৎক্ষণিকভাবে তার ভুল পদ্ধতি সংশোধন’ এবং ‘আলোচনায় কষ্টার্জিত অগ্রগতি সংরক্ষণ’ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র: সিএনএন