রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে কোনো পশ্চিমা সেনা মোতায়েন করা হলে তা রুশ সেনাদের কাছে বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে গণ্য হবে। শুক্রবার ভ্লাদিভোস্তকে এক অর্থনৈতিক ফোরামে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
এর একদিন আগে ফ্রান্স ও ব্রিটেনের নেতৃত্বে প্রায় দুই ডজন দেশ ঘোষণা করে, শান্তিচুক্তি হলে তারা স্থল, সমুদ্র ও আকাশে একটি আশ্বাস প্রদানকারী বাহিনী গঠন করবে। তবে কত সেনা মোতায়েন হবে বা কোন দেশ কীভাবে অবদান রাখবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
পুতিন বলেন, 'যুদ্ধ চলাকালে যদি কোনো সেনা সেখানে উপস্থিত থাকে, আমরা ধরে নেব তারা বৈধ লক্ষ্যবস্তু।' তিনি আরও দাবি করেন, এ ধরনের বাহিনী দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য সহায়ক নয়, বরং পশ্চিমাদের সঙ্গে ইউক্রেনের ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্কই সংঘাতের অন্যতম কারণ।
অন্যদিকে, কিয়েভ বলছে, ভবিষ্যতে রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসন ঠেকাতে পশ্চিমা বাহিনীর সমর্থনে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা যে কোনো শান্তিচুক্তির জন্য অপরিহার্য।
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ শুরু করার পর লাখো মানুষ গৃহহীন হয়েছে, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের বহু এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, আর নিহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
পুতিনের দাবি, যদি সত্যিই কার্যকর শান্তিচুক্তি হয়, তবে বিদেশি সেনার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, 'চুক্তি হলে সন্দেহ নেই রাশিয়া তা পুরোপুরি মেনে চলবে।'
তবে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো মনে করিয়ে দিয়েছে, অতীতে রাশিয়া একাধিকবার চুক্তি ভঙ্গ করেছে। বিশেষ করে ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লড়াই চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।