রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স আল আমিন হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) খান আসিফ তপু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন— সরাসরি হত্যায় জড়িত মোশারফ হোসেন (২৬) ও মো. রিপন ওরফে গিট্টু রিপন (২৪)। এ মামলার অন্যতম আসামি আকাশকেও গ্রেফতার করেছে র্যাব।
খান আসিফ তপু জানান, নিহত আল আমিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। কিছুদিন আগে তিনি মোশারফের ছোট ভাই মান্নানকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করেছিলেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মোশারফ ও তার সহযোগীরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) চাঁদ উদ্যান এলাকায় আল আমিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের সময় আল আমিন দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ-ই আসামিরা হামলা চালিয়ে ধারালো সামুরাই দিয়ে ডান পায়ের রগ কেটে দেয় এবং ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৫৯, তারিখ-১৭/০৭/২০২৫, ধারা-৩০২/৩৪)। পরবর্তীতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মোশারফ পেশায় রিকশাচালক হলেও বাস্তবে তিনি মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার, মাদক ব্যবসায়ী এবং সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তিনি আগেও একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছেন এবং জামিনে মুক্ত হয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। অন্যদিকে, রিপন ওরফে গিট্টু রিপন পেশায় রংমিস্ত্রি হলেও মোশারফের নেতৃত্বে চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
র্যাব আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা যাচাই-বাছাই করে ভবিষ্যতে আরও অভিযান চালানো হবে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় র্যাবের এই কর্মকর্তা।