অপরাধ

বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করায় প্রেমিকা খুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটনসহ গ্রেফতার ০৩

Reporter

প্রেমিকাকে বাদ দিয়ে অন্য নারীকে বিয়ে করতে চাওয়ায় প্রেমিকা কর্তৃক চাপ প্রয়োগের কারণে খুন হন রোকসানা নামে এক নারী। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কদমতলী থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। এলাহিন ওরফে এলাহি ওরফে ইব্রাহিম (৪২) ২। সুমি আক্তার (৩২) ৩। সাইফুল (২৪)।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাত আনুমানিক ০৯:০০ ঘটিকায় কদমতলী থানার জুরাইন বৌবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

কদমতলী থানা সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ০৯:১০ ঘটিকায় জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯ -এর মাধ্যমে কদমতলী থানার ডিউটি অফিসার জানতে পারেন, লাল মিয়া সড়কের হাজী মিছির আলীর বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার পাশে একটি সন্দেহজনক বস্তা পড়ে আছে। সংবাদ পেয়ে কদমতলী থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে বস্তাটি খুলে একজন অজ্ঞাতনামা মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণকরে। পরবর্তীতে সিআইডির ফিঙ্গার প্রিন্ট শাখার মাধ্যমে আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে ভিকটিমের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এর ভিত্তিতে ভিকটিমের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ০১:০০ ঘটিকায় ভিকটিমের বোন মোসা. সুমি আক্তার ও তার স্বামী এলাহি ইব্রাহিম থানায় এসে জানান, ভিকটিম (রোকসানা) ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। থানার ডিউটি অফিসার তাদের মৃতদেহের ছবি দেখালে তারা রোকসানাকে সনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভগ্নিপতি মোঃ গোফরান হাওলাদার বাদী হয়ে কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলাটি রুজুর পর চারটি টিম তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবস্থান সনাক্ত করা হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ০৯:০০ ঘটিকায় জুরাইন বৌবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা, পলিথিন, এবং ভিকটিমের স্যান্ডেল জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত এলাহি ইব্রাহিম জানায়, ভিকটিমের সঙ্গে তার শ্যালক মো.সাইফুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে সাইফুল অন্য এক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ভিকটিম বাধা দেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সাইফুল, তার বোন সুমি ও দুলাভাই এলাহি ইব্রাহিম পরিকল্পনা করে ভিকটিমকে হত্যা করেন।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীণ।