আহমেদীয়া ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদের মালিকানাধীন রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকায় অবস্থিত ১০ তলা বাণিজ্যিক ভবন “ইউরো স্টার টাওয়ার” ক্রোক করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ভবনটির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে মনির আহমেদ প্রলোভন দেখিয়ে মিরপুর, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, মহাখালী, কাফরুলসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১,০০০–১,১০০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে অধিক মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোট ৫৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন। পরে প্রতারণার মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে নিজের নামে বিপুল পরিমাণ স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেন।
২০০৫ সালে আহমেদীয়া বহুমুখী সমবায় সমিতি নামে নিবন্ধন নিয়ে ২০০৬ সালে নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নামে পুনঃনিবন্ধন নেন মনির আহমেদ। প্রতিষ্ঠার সময় সদস্য সংখ্যা ছিল ২০ জন, যা ২০১৮ সালে দাঁড়ায় মাত্র ২১ জনে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুধু সদস্যদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকার কথা থাকলেও, তিনি বাইরের মানুষের কাছ থেকেও আমানত সংগ্রহ করেন।
এ ঘটনায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী-২০১৫) এর ৪(২) (৪) ধারায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর কাফরুল থানায় মামলা হয় (মামলা নং-২৫)। তদন্তে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট ইব্রাহিম মৌজায় ৮.৪৭ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত “ইউরো স্টার টাওয়ার” এর সন্ধান পায়। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পর ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত ভবনটি ক্রোকের আদেশ দেন।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নিবিড় তদন্তাধীন রয়েছে, যাতে গ্রাহকের আমানতের অর্থ আত্মসাতের পুরো চিত্র উদঘাটন করা যায়।