বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের একাধিক আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাকের গভর্নরের কাছে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে উঠে এসেছে, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস থেকে দৈনিক প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা তুলতেন। দুদকের আবেদনে গত ২৭ মে আদালত ওই ১২০ কোটি টাকা ফ্রিজ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু এখন জানা গেছে, এসব হিসাবে রয়েছে প্রায় ১০১ কোটি টাকা, আর বাকি অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ার পেছনে অনৈতিক সুবিধার অভিযোগ উঠেছে।
শাহীনুল ইসলাম এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এনা পরিবহনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে কিছু টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হয়। অনুরূপভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানকেও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দুদক থেকে জানতে চাইলে আমি ব্যাখ্যা দেবো।’
আপত্তিকর ভিডিও’র বিষয়ে তার দাবি, ‘আমাকে হেয় করার জন্য কে বা কারা এগুলো ছড়িয়েছে। এগুলো ভুয়া।’
গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার (১৮ আগস্ট) থেকে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিও প্রকাশের পর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এরপরই ভিডিওর সত্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইটি বিভাগকে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৮ আগস্ট পদত্যাগে বাধ্য হন বিএফআইইউর তৎকালীন প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস। দীর্ঘদিন পদটি শূন্য থাকার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে এএফএম শাহীনুল ইসলামকে প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে গভর্নরের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটির সুপারিশ তালিকায় তার নাম না থাকায় নিয়োগের পর থেকেই তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।