প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় এনে রাখা হয়।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামসুজ্জোহা সরকার নুরুল হুদাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, শপথ ভঙ্গ, ঘুষ গ্রহণসহ ১১টি অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।
এর আগে রবিবার (২২ জুন) রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে সাবেক এই সিইসিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নুরুল হুদা ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিইসি ছিলেন। তার নেতৃত্বে থাকা কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এ মামলায়।