রাজধানীর গাবতলী-আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডামি পিস্তলসহ ডাকাত দলের নয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি ওয়ারী বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। মোঃ মাকছুদুর রহমান দীপু (২৬) ২। মোঃ হৃদয় (২২) ৩। মোঃ জাকির হোসেন (৩৬) ৪। মোঃ সবুজ ডাক্তার (৫৫) ৫। মোঃ শামছুজ্জামান ওরফে সবুজ (৩৫) ৬। সৈয়দ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ওরফে আলম (৫৮) ৭। মোঃ রিপন (৩৬) ৮। মোঃ মামুনুর রশিদ ওরফে শিশির (৩৪) ও ৯। মোঃ ইলিয়াছ রহমান (৩৩)।
ডিবি ওয়ারী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৭ অক্টোবর ২০২৫) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপনগর থানাধীন গাবতলী-আব্দুল্লাহপুর বেরীবাঁধস্থ বিরুলিয়া ব্রীজের বিপরীত পাশে প্রিয়াঙ্কা শুটিং স্পটের উত্তর পাশের বাউন্ডারী সংলগ্ন এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সোমবার রাত আনুমানিক ১১:০৫ ঘটিকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মাকছুদুর রহমান দীপু, মোঃ হৃদয় ও জাকির হোসেনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগের একটি চৌকস টিম। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় দুটি খেলনা পিস্তল, একটি স্টীলের ছুরি এবং তিনটি বাটন মোবাইল ফোন। গ্রেফতারকালে দুইটি গাড়ি এবং কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে ১৪-১৫ জন ডাকাত দ্রুত বিরুলিয়া ব্রীজ পার হয়ে সাভার এলাকায় পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ও তাদের নিকট থাকা মোবাইল ফোন হতে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর ) রাত আনুমানিক ০০:৫০ ঘটিকায় আশুলিয়া থানাধীন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিশমাইল মোড় থেকে অ্যাভেঞ্জা কারসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করেছে ডিবি ওয়ারী বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিম। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ইলেকট্রিক শক লাইটার, চারটি মোবাইল ফোন এবং উক্ত কার থেকে তিনটি পুলিশ লেখা রিফ্লেকটিং জ্যাকেট (বাংলাদেশ পুলিশের মনোগ্রামযুক্ত), একটি কালো রংয়ের পকেট মোবাইল রাউটার উদ্ধার করা হয়।
ডিবি ওয়ারী বিভাগ সূত্রে আরও জানায়, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করার উদ্দেশে খেলনা পিস্তলসহ উল্লিখিত স্থানে একত্রিত হয়েছিল মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ওরফে আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি মামলাসহ মোট আটটি মামমলা রয়েছে, শামছুজ্জামান ওরফে সবুজের বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা রয়েছে,জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা, মাকছুদুর রহমান দীপুর বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলাসহ চারটি মামলা, ইলিয়াছ রহমানের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা, হৃদয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ১২ টি মামলা,মামুনুর রশিদ ওরফে শিশিরের দুইটি মামলা, সবুজ ডাক্তারের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা ও রিপনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন। পলাতক অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।