এক বছরে আমি প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন শিখেছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এক বছর পূর্তিতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে অভিজ্ঞতা শেয়ার করে শফিকুল আলম লিখেছেন, বিদেশি সংস্থার ব্যুরো চিফ থেকে সরাসরি দৈনিক স্পটলাইটে আসা ছিল এক অসাধারণ যাত্রা। শুরুতে গোড়া থেকে কাজ শুরু করতে হয়েছে, প্রতিদিন নতুন কিছু শিখেছেন। তবে কিছু ভুলও হয়েছে বিশেষ করে সময় ব্যবস্থাপনায়। কখনো প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি হয়েছে, আবার কখনো প্রতিক্রিয়া না দেওয়াই উচিত ছিল।
তিনি জানান, দায়িত্বের চাপ তার পরিবারের ওপরও পড়েছে। স্ত্রী, সন্তান ও ভাইবোনরা এই চাপ ও নজরদারি সহ্য করেছেন। পেশাগত কারণে কিছু বন্ধু হারিয়েছেন, সাংবাদিক সমাজের কিছু সদস্য প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন। তার ভাষায় ‘আমি কোনো কিছু ঘুরিয়ে বলি না। সাদা মানে সাদা, কালো মানে কালো বলি। ব্যাখ্যার পার্থক্য মানেই একপক্ষ মিথ্যা বলছে, এমন নয়।’
বছরজুড়ে তার কাছে আসা আলোচিত কিছু প্রশ্ন ও জবাব তুলে ধরেন তিনি—
হাসিনা ডাস্টবিনে ময়লা ফেলা প্রয়োজন ছিল কি? – হ্যাঁ, তিনি ছিলেন নির্মম স্বৈরশাসক এবং জুলাই-উত্তর বাংলাদেশে তার অবস্থান বোঝানো জরুরি ছিল।
আপনি কি বামপন্থিদের ‘বনসাই’ বলেছেন? – না, বলেছি তারা বাংলাদেশকে বনসাই আকারে রাখতে চায়।
মেয়াদ শেষে রাজনীতিতে যোগ দেবেন কি? – না, সাংবাদিকতায় ফিরব।
লন্ডনে আওয়ামী সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন কি? – না, কেবল চাথাম হাউজের বাইরে কিছু চিৎকার হয়েছিল, যা ছিল পশ্চিমা ধাঁচের প্রতিবাদ।
আপনি সরকারি মুখপাত্র নাকি প্রেস সচিব? – হোয়াইট হাউস মডেলে প্রেস সচিব একইসঙ্গে সরকারের মুখপাত্রও হন।
‘স্টারমার কানাডা সফর করছেন’ মন্তব্যটি ইচ্ছাকৃত ছিল কি? – না, যাচাই ছাড়া বলেছিলাম— এটি ভুল ছিল।
আপনি কি এই কাজ উপভোগ করেছেন? – অবশ্যই, এটি ছিল বিশাল শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা।
চাপ অনুভব করেছেন কি? – না, তবে চাইতাম দিনে ৩৬ ঘণ্টা থাকুক।
সরকারের কার্যক্রমের মূল্যায়ন – এ++; বড় সংস্কার চলছে, বিচার অগ্রসর হচ্ছে, লক্ষ্য অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
প্রেস উইংয়ের মূল্যায়ন – ট্রেইলব্লেজার; ভবিষ্যতের জন্য উচ্চ মান স্থাপন।
এখন ধনী হয়েছেন কি? – না, সঞ্চয়ের বড় অংশ শেষ হয়েছে।
সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা – লাইভ ব্রিফিং বা টকশোতে ভুল কিছু বলে ফেলা, যা ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।