রক্তাক্ত জুলাইয়ের ২০ তারিখে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরাতে দেশজুড়ে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করা হয়। রাস্তায় কাউকে দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশনাও দেয়া হয় এদিন থেকে। তবে তাতেও রোধ করা যায়নি তারুণ্যের জোয়ারকে। দিনভর সংঘর্ষে নিহত হন ২৬ জন।
কয়েক দিনের কমপ্লিট শাটডাউনে স্থবির হয়ে পড়েছিল সারা দেশ। পরিস্থিতি সামলাতে ২০ জুলাই সারা দেশে কারফিউ জারি করে তৎকালীন সরকার।
এদিন গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন, কারফিউয়ের নিয়ম অনুযায়ী রাস্তায় কাউকে দেখামাত্রই গুলি করা হবে। একই সঙ্গে আন্দোলন দমানোর কৌশল হিসেবে পরবর্তী দুদিন সরকারি ছুটির ঘোষণা আসে।
কারফিউ চলাকালীন সারা দেশে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত হন। রাজধানীতে ১৫ জন, ময়মনসিংহে ৪ জন, সাভারে ৪ জন, গাজীপুরে ২ জন, নরসিংদীতে ১ জন নিহত হন। বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জসহ আরও কয়েকটি জেলার রাজপথ।
এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে বলে ঘোষণা দেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, ‘আমরা কারফিউ চালিয়ে যাচ্ছি। সেটা বাড়ানো হয়েছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সময় সংবাদকে বলেন, ‘নৃশংস হামলা করার পর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থানের দ্বিতীয় অধ্যায় কন্টিনিউ করে তাদের জায়গা থেকে।’
১৬ থেকে ২০ জুলাই, চারদিনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান দেড় শতাধিক মানুষ।