সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ওপর ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলেছে, এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ও বেআইনি ঘটনা শুধু পুলিশ বাহিনীর জন্য নয়, বরং রাষ্ট্রের সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্যও হুমকিস্বরূপ।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ৪ অক্টোবর নরসিংদী সদর এলাকায় সক্রিয় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলা চালানো হয়, এতে তিনি আহত হন। একই দিন বগুড়ার শিবগঞ্জে নিষিদ্ধ একটি সংগঠনের সদস্যকে গ্রেফতারের সময় সংঘবদ্ধ একটি দল পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। এতে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এর আগে, ১১ আগস্ট চট্টগ্রামে কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি রাজনৈতিক দলের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে বন্দর থানার একজন উপ-পরিদর্শককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এছাড়া ৫ অক্টোবর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনার সময় ট্রাক শ্রমিকদের একাংশ পুলিশের ওপর সহিংস আচরণ করলে পাঁচজন পুলিশ সদস্য গুরুতরভাবে আহত হন।
পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “পুলিশের বৈধ দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান, হামলা বা লাঞ্ছনার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক, নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধা। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখায় পুলিশ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে আসছে।
সাম্প্রতিক শারদীয় দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাহিনী দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সংযম, ধৈর্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে পুলিশ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ঘটনাগুলোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন আরও বলেছে, “এসব ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ বাহিনী সদা সচেষ্ট রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও কর্তব্যে অটল থাকবে।”
সংগঠনটির বিশ্বাস, দেশের জনগণের সহযোগিতায় পুলিশ বাহিনী আগামী দিনেও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সংবিধান ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে সক্ষম হবে।