রাখাইনে মানবিক সহায়তার জন্য কোনো করিডরের প্রস্তাব করেন নাই বলে দাবি করেছেন মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার টম এন্ড্রুজ। তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত হলেও বিশ্ববাসীর কাছে গুরুত্ব হারিয়েছে রোহিঙ্গা সংকট।
দীর্ঘ ৮ বছর ধরে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করছে রোহিঙ্গারা। কয়েক দফা চেষ্টার পরও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি তাদের। রোহিঙ্গাদের সমস্যা এবং তাদের প্রত্যাবাসান প্রক্রিয়া সবার সামনে তুলে ধরতে কক্সবাজারে আয়োজন করা হয়েছিল অংশীজন সংলাপ। যেখানে অংশ নেন জাতিসংঘের মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক র্যাপোটিয়ার টম অ্যান্ড্রুজ।
টম অ্যান্ড্রুজের মতে, রোহিঙ্গা সমস্যাটি এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গুরুত্ব হারিয়েছে। তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানে বিশ্বকে আগে এই সমস্যা স্বীকার করতে হবে।
মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, আপনি কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না, যদি সেটিকে স্বীকার না করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রায় অদৃশ্য হয়ে আছে। বর্তমানে বৈশ্বিক নানা সংকট সামনে এলেও রোহিঙ্গা সমস্যাকে ভুলে যাওয়া চলবে না। বিশ্বকে এ সংকটকে স্বীকার করতে হবে, রোহিঙ্গাদের কথা শুনতে হবে এবং তারা কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে তা জানতে হবে। কেবল তবেই সমাধানের পথে এগোনো সম্ভব।
তিনি বলছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যারা অপরাধ করছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বন্ধ করতে হবে পরিকল্পিত আক্রমণ।
মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার আরও বলেন, দায়মুক্তি বন্ধ করতে হবে, সহিংসতা, হত্যা, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের জনগণ। তাদের নাগরিকত্বসহ সব অধিকার দিতে হবে।
টম অন্ড্রুজের দাবি, কোনো করিডোরের কথা বলেননি তিনি। কারণ করিডোরের আইনগত সংজ্ঞা আছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটটি আঞ্চলিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। আমি কোন করিডোরের কথা বলিনি। কারণ এটি সুনির্দিষ্ট বিষয়, যার আইনগত সংজ্ঞা আছে।
এছাড়া একটি সফল প্রত্যাবাসনের জন্য তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা ও দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেয়া উচিত বলে মত জাতিসংঘের এই কর্মকর্তার।