ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই সনদ দিয়ে আমাদের বাংলাদেশ পরিবর্তন হবে। এই পরিবর্তন সম্ভব হলো ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের কারণে। এটা হলো গণঅভ্যুত্থানের দ্বিতীয় অংশ।
জুলাই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫–এ স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘প্রথমে এই মহান দিবসটি আমাদের দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে শোকর গুজারী করছি। তার রহমতে আজকে আমরা এটা সফল করতে পারলাম। তার যে রহমত আছে সেটারও প্রমাণ আমরা পেলাম। যখন জুলাই ঘোষণা দেওয়ার জন্য এখানে এসেছিলাম তখন বৃষ্টির কোনো লক্ষণ ছিলো না। আমাদের কাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। আজকেও আল্লাহর মেহেরবানী। ঠিকই তিনি আমাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বর্বরতার সমাজে ছিলাম। সেখান থেকে আমরা সভ্যযুগে প্রবেশ করলাম। আমাদের ভবিষ্যত অত্যন্ত চমৎকার। শুধু আমাদের সমাজকে গঠন করতে হবে।
আমরা যদি একমত হই, অন্যসব কাজেও যদি একমত হই তাহলে আমাদের দেশ অনন্য দেশে পরিণত হবে। বঙ্গোপসাগর আমাদের, এই অংশ অত্যন্ত সম্পদশালী অংশ। আমরা আমাদের এই অংশকে পূর্ণ ব্যবহার করতে চাই। তার জন্যই আজ আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবো।
বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করার জন্য যে পথ লাগবে এই জুলাই সনদই সেই পথ দেখাবে। কক্সবাজার, মাতারবাড়িসহ সকল এলাকা যদি আমরা বন্দর হিসেবে পূর্ণাঙ্গভাবে গড়ে তুলতে পারি তাহলে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই জুলাই সনদের তর্ক বিতর্কের মধ্য দিয়েও কীভাবে সফল হয়েছে তার নতুন প্রজন্মের জন্য পাঠ্যপুস্তকে থাকবে। তারা দেখবে এবং শিখবে আমরা এক হতে পারি।’
নির্বাচন নিয়ে বলেন, ‘আজ যে ঐক্যের সুর এখানে বাজিয়েছি সেই ঐক্যের সুর দিয়ে আমরা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে যাবো। নির্বাচন কীভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে করা যাবে তারজন্য আবার আপনারা বসুন, আলোচনা করুন। যত সুন্দরভাবে করা যায়, তত সুন্দরভাবে করার আয়োজন করেন।’