আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ই হবে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সুপ্রিমকোর্ট অডিটোরিয়ামে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। জামিনের পর হয়রানি নিরসনে বুধবার থেকে জামিননামা অনলাইনে দেয়া হবেও বলে জানান আইন উপদেষ্টা। আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর একজন আসামিকে ১২টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। কোনো কোনো ধাপে টাকাও খরচ করতে হয়। এই জটিলতা ও হয়রানি নিরসনে বুধবার থেকে অনলাইনে জামিননামার সুবিধা চালু করা হবে। এর ফলে জামিন পাওয়ার পর এক ক্লিকেই জামিননামা সংশ্লিষ্ট কারাগারে পৌঁছে যাবে। তিনি আরও বলেন, গুম, দুদক ও মানবাধিকার আইন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর আসামিকে ১২টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এর কোনো কোনো ধাপে টাকাও খরচ করতে হয়। সব ধাপে হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই এসব নিরসনে ১৫ অক্টোবর থেকে অনলাইনে জামিননামা পাঠানো হবে। এর ফলে জামিন পাওয়ার পর এক ক্লিকে জামিননামা সংশ্লিষ্ট কারাগারে চলে যাবে। আমরা আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনেকগুলো সংস্কার করেছি। একদম নিজেরা করেছি। কারো কোনো সহযোগিতা ছাড়া। কাল অনলাইন জামিননামা (বেইল বন্ড) উদ্বোধন করবো। এই জামিননামাটা, একটা লোক জামিন পাওয়ার আদালত থেকে শুরু করে ছাড়া (মুক্তি) পাওয়া পর্যন্ত ১২টা প্রক্রিয়াতে যেতে হয়। কোনো কোনো ধাপে টাকা দিতে হয়। ১২টা ধাপে তাকে হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়।
আগামীকাল (বুধবার) আমরা পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছি। একটা ক্লিক করবে, আদালতের রায় থেকে জামিননামা সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে যেখানে আসামি আছে। এটা সরকারের টাকা দিয়ে করেছি। কারো সহযোগিতা লাগেনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সরবকারের অনেক টাকা বিশ্বাস করেন। অনেক টাকা। আমার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ১৬শ' কোটি টাকা আছে। আমাদের আইজিআর অফিসে (রেজিস্টার অফিস) ১৫শ' কোটি টাকা আছে। এগুলো কেউ খেয়াল করে না। আমরা নিজের টাকা নিজে ব্যবহার করে অনেক ভালো কাজ করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ই হবে। বিচার বিভাগ পৃথক সচিবালয় আইন, গুমের আইন, দুদক আইন, হিউম্যান রাইটস আইন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ, ব্যারিস্টার অনীক আর হক।