জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ১০টি দলের বিষয়ে অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলগুলোর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতা বিষয়ে এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অঞ্চলভিত্তিক গঠন করা হয়েছে ১০টি কমিটি।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিলে ১৪৩টি আবেদন করে। তবে প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দলই উত্তীর্ণ হতে না পারলে সবগুলো দলকেই ফের সময় দেওয়া হয়। তবে বর্ধিত সময়েও শর্ত পূরণ করতে না পারায় ১২১টি দলের আবেদন বাতিল করা হয়। পরে ২২টি দলের কার্যক্রম ও অস্তিত্ব খতিয়ে দেখতে তদন্ত শেষে আরও ৭টি দলের আবেদন বাতিল করা হয়। আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জাতীয় লীগ নামের দু’টি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া একটি দলের বিষয়ে আদালতের রায় পর্যালোচনা ও দুটি দলের সচিবালয় পর্যায়ে পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়। আর বাকি ১০ দলের মাঠ পর্যায়ে অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের প্রশাসনিক ১০ অঞ্চলে দলগুলোর কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত হবে। এতে কোনো গড়মিল না পেলে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে।
যে ১০ দলের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত নেওয়া হয়। তা হলো- আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি।