রাজনীতি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের প্রস্তাব চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে: সালাহউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে প্রায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় একটা ফাইনাল স্টেজে আমরা আছি। মোটা দাগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে মনে হয় আমরা এগোতে পেরেছি।

গণভোটের প্রস্তাব প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দল মিলে সমগ্র জনগোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করি কি না—এটা একটা প্রশ্ন। তাই জনগণের কাছে যদি সম্মতি নেওয়া যায় যে আমরা রাজনৈতিক দলসমূহ জুলাই জাতীয় সনদ সই করেছি, অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি—জনগণ তার পক্ষে আছে কি না, তখনই হবে জনগণের পক্ষ থেকে এই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য একটা চূড়ান্ত অভিমত।

একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করেন, গণভোটের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, রেফারেন্ডামের মাধ্যমে যে জনরায় আসবে সেটা সার্বভৌম ক্ষমতার একটা রায়। সুতরাং সব সংসদ সদস্য সেটা মানতে বাধ্য হবে।

এসময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন রাখেন, যদি আগামী সংসদে জুলাই সনদের বিরোধী এমপিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয় তবে কি তারা জনরায় মানতে বাধ্য থাকবে? জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জনরায় হচ্ছে চূড়ান্ত… যখন পক্ষে বলবে তখন সেই সংসদ এবং সংসদ সদস্যরা সেটা মানতে বাধ্য।

তিনি আরও মনে করিয়ে দেন, সংসদ সবসময় সার্বভৌম… আর্টিকেল ৭৮ অনুসারে জাতীয় সংসদের অভ্যন্তরে যে প্রসিডিং হবে, তার বিরুদ্ধে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যায় না।

বৈঠকে জুলাই সনদের বিভিন্ন ধারার ওপর নোট অব ডিসেন্ট থাকা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, জুলাই সনদ প্রণীত হবে, সই হবে, অঙ্গীকারনামায় সবাই সই করবে… ওয়েবসাইটে যাবে, সব পার্টির ইশতেহারে থাকবে… জনগণ জানবে জুলাই সনদে কি আছে। যারা ম্যান্ডেট পাবে, তারা তাদের নোট অব ডিসেন্ট অনুসারে যেতে পারবে।