শুরু থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ভালো-মন্দ, ভুল-ত্রুটি নিয়ে সরব থাকেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
সম্প্রতি দেশের ৬ জন রাজনৈতিক প্রতিনিধি ও সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়েও কথা বলেন তিনি।
এবার কথা বললেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ভালোবাসা, সরলতা ও নিরপক্ষতা নিয়ে। ‘ড. ইউনূসের সরলতা বিশ্বে বিরল’ বলেও উল্লেখ করেছেন। এমনকি, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস যদি দ্বিতীয়বার নোবেল পুরষ্কার পান, তাহলে সেটা তার সরলতার জন্য পাবেন বলেও মন্তব্য করেন।
ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যার দুজন রাজনৈতিক প্রতিনিধিকে মঞ্চে তুলে বললেন, these are the guys fighting on the street. তাহলে বাকি যে ৪ জন রাজনৈতিক প্রতিনিধি গেছেন, তারা কি রাস্তায় ফাইট করছে না? ডক্টর ইউনূস স্যার নিরপেক্ষতার অভিনয়টা বোঝেন না। যাকে ভালোবাসেন, তার প্রতি ভালোবাসাটা এভাবেই দৃশ্যমান করেন। এজন্যই তাকে আমার ভালো লাগে’।
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, ‘অন্যান্য উপদেষ্টারা মাঝেমধ্যে তাকে স্মরণ করিয়ে দেন, স্যার আপনি বাকিদের প্রতিও মাঝেমধ্যে ভালোবাসা দেখায়েন, নইলে অন্তর্বর্তী সরকারকে মানুষ পক্ষপাতদুষ্ট সরকার বলবে। তখন আর সবাই আপনাকে সহযোগিতা করবে না। স্যার তখন বলেন, ও, তাই নাকি! ঠিকাছে, তাদেরকেও ডাকো’।
রাশেদ খানের ভাষায়, ‘স্যারের এই সরলতা বিশ্বে বিরল। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যার যদি দ্বিতীয়বার নোবেল পুরষ্কার পান, তবে সেটা সরলতার জন্য পাবেন। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি, তিনি যেন এই সরলতা ধরে রাখেন। আর যাকে ভালোবাসেন, সেটা অন্যন্যদের মত লুকিয়ে না রেখে প্রকাশ করেন। এতে অন্তত তাকে কেউ কুটিল বুদ্ধির লোক বলবে না।’