রাজনীতি

প্লট দুর্নীতি: ৬ মামলায় শেখ হাসিনা, জয় ও পুতুলসহ ২৩ জনের বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা ৬ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে এসব মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আগামী ১১ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

নিজের এবং স্বজনদের নামে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করে দুদক। এরপর ২৫ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে সংস্থাটি। অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনকে পলাতক দেখানো হয়।

এসব মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ১৩ ও ১৫ এপ্রিল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার প্রতিটিতে শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়। অন্য মামলায় বিভিন্নজনকে আসামি করা হয়। তবে রাজউক এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা প্রত্যেকেই শেখ হাসিনার সঙ্গে ছয় মামলার আসামি।