অর্থ পাচারসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গত ১৭ জুন মামলা করেছিল দুদক। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল গত ২১ সেপ্টেম্বর। কিন্তু দুদল প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজের আদালতে ২১ সেপ্টেম্বর দুদক প্রতিবেদন জমা না দিলে নতুন দিন ধার্য করা হয় ২৬ নভেম্বরকে। মামলার অভিযোগ অনুসন্ধান করে ওই দিন তদন্ত জমা দিতে এবার নতুন কমিটি গঠন করল দুদক। নতুন কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনকে।
সাকিব ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সমবায় অধিদফতরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ূন কবির ও তানভীর নিজাম।
ওই মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে সিরিজ ট্রানজেকশন, প্রতারণামূলক অ্যাকটিভ ট্রেডিং, জুয়া, ও স্পেকুলেশনের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কৃত্রিমভাবে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারের দাম বৃদ্ধি করে কারসাজি করেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হারান। এই পদ্ধতিতে ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাৎ করা হয়, যা আইনে ‘অপরাধলব্ধ অর্থ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত।