সেই ২০০৩ সালে শেষবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আর ফুটবল দেবতা মুখ তুলে তাকাননি। তবে এবার ঘুচলো সেই খরা।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এমন জয়ে গ্যালারি থেকে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ। উল্লাসে মাতোয়ারা দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সমীকরণে এখন আর নেই বাংলাদেশ। তবু এই জয় বিশেষ, কারণ ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর আর কোনো স্বীকৃত ম্যাচে যে ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
এদিন ম্যাচের শুরুর দিকে আক্রমণে যেতে কিছুটা বেগ পেতে হয় বাংলাদেশকে। অন্যদিকে ভারত একাধিকবার ডি-বক্সে ঢুকলেও গোলের দেখা পায়নি। তবে ছন্দে ফিরতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ দল।
১১ মিনিটে তরুণ মোরসালিনের গোলে স্বস্তির লিড পায় হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। বাম প্রান্ত থেকে রাকিবের আড়াআড়ি ক্রসে পা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদ করে বাংলাদেশ সমর্থকদের আনন্দে ভাসান এই মিডফিল্ডার।
২০ মিনিটে গোলকিপার মিতুল মারমার ভুলে সেই লিড প্রায় হারাতে বসেছিল বাংলাদেশ। তবে দলকে সে যাত্রায় রক্ষা করেছেন হামজা চৌধুরী। ভারতীয় ফুটবলারের ক্রস হেড করে ক্লিয়ার করেন দেশের ফুটবলের এই মহাতারকা।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে মাঠে হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তপু বর্মণ ও ভারতের বিক্রমের ধাক্কাধাক্কিতে রিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই দলের খেলোয়াড়রাই প্রায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত রেফারি তপু ও বিক্রম—দুজনকেই হলুদ কার্ড দেখিয়ে উত্তাপ কমান।
প্রথমার্ধের বাকি সময় একাধিক সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা দারুণ করেছিল ভারত, দুইবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। তবে আক্রমণের ধার মজবুত রেখেই খেলা চালিয়ে যেতে থাকে সফরকারীরা। ৭৮ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে শট নেন তপু বর্মণ, তবে শটের গতি দুর্বল হওয়ায় তা ফিরিয়ে দেন ভারতের গোলকিপার।
৮৩ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর ভারতের এক ডিফেন্ডারের হাতের পেছনের দিকে লেগেছিল বল। বাংলাদেশের ফুটবলাররা পেনাল্টির রব তুললেও তাতে কান দেননি রেফারি। শেষ বাঁশি বাজার আগে বাংলাদেশের দেয়াল কোনোভাবেই ভেদ করতে পারেনি ভারত। ফলে জয় নিয়েই শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।