নিজের সাম্রাজ্য যেন ধরে রাখলেন সাবালেঙ্কা। নিউইয়র্কের ফ্লাশিং মিডোতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে মার্কিন তারকা আমান্ডা আনিসিমোভাকে ৬-৩, ৭-৬ সেটে হারিয়ে জিতলেন টানা দ্বিতীয় ইউএস ওপেন ও ক্যারিয়ারের চতুর্থ গ্র্যান্ডস্ল্যাম।।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত প্রতুস্তু হয় আরও একটি শিরোপার মঞ্চে। ম্যাচ শেষে রীতিমতো জয়ের উচ্ছ্বাস আছড়ে পড়ে সাবালেঙ্কার চোখেমুখে। সেরেনা উইলিয়ামসের পর সাবালেঙ্কাই প্রথম নারী তারকা হিসেবে টানা দু’বার ইউএস ওপেন জয়ের কৃতিত্ব দেখালেন। একই সঙ্গে বাঁচালেন নিজেকে জাস্টিন হেনিনের ২০০৬ সালের মতো পরপর তিনটি ফাইনালে হারের হতাশা থেকে।
এদিন ম্যাচ জিতে কোর্টেই বসে পড়েন সাবালেঙ্কা। চোখ থেকে তখন ঝরছে অশ্রুধারা। টানা দু’বার শিরোপার মঞ্চ থেকে খালি হাতে ফেরার পর, জয়ের আনন্দটা ছিলো আকাশ ছোঁয়া।
এদিকে, ম্যাচের পরই গ্যালারিতে আনন্দে আত্মহারা তাঁর কোচ ও সাপোর্ট স্টাফরা। কোচ ধরিয়ে দেন রুপোলি রঙের ঝলমলে পোশাক। বোঝাই যাচ্ছিলো- উদযাপনের প্রস্তুতি ছিলো আগেই। সেই পোশাকেই ট্রফিতে চুমো খান সাবালেঙ্কা।
অবশ্য, সহজ ছিলো না সাফল্যের পথ। কারণ, তার প্রতিপক্ষ শুধু আনিসিমোভা নন, ছিলেন প্রায় ২৪ হাজার দর্শকও। গোটা ম্যাচে পাননি মার্কিনীদের একবিন্দু সমর্থন। তাতে দমে যাননি, দিয়েছেন পাল্টা হুঙ্কার। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চুপ করিয়ে যখন ট্রফি নিচ্ছেন; তখন হাততালিতে মুখর গোটা আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়াম। বিদ্রুপ যে ভোলেননি, সেটা স্পষ্ট হয় সাবালেঙ্কার কথায়ও।
সাবালেঙ্কা বলেন, দু’বছর আগে মার্কিন খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে নেমে বুঝেছিলাম, সমর্থন পাবো না। প্রার্থনা করতাম, তাদের বিরুদ্ধে যাতে না নামতে হয়। কিন্তু গতবারও খেলতে হল, এবারও। আশা করছি পরের বার হয়তো দর্শকরা সমর্থন করবেন।
ফাইনালে হারের দুঃখ সাবালেঙ্কার থেকে আর কে বেশি জানে? কারণ চলতি মৌসুমে হেরেছেন দুটি ফাইনাল। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ইউএস ওপেন জয়। সেই অনুভূতি আনিসিমোভার সাথে শেয়ার করার পাশাপাশি দিলেন পরামর্শ। বলেন, পর পর দুটো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ওঠা সহজ নয়। আমি জানি, ফাইনালে হারের দুঃখ কতটা। কিন্ত বিশ্বাস করো, একদিন তুমিও জিতবে। সেই জয়ের আনন্দ কয়েকগুণ বেশি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ান ও ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠেও সাবালেঙ্কা ফেরেন শূন্য হাতে। তবে, বছরের শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যাম হাতছাড়া করলেন না তিনি।