খেলার খবর

সিরিজ হার ঠেকাতে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাটিংয়ে নেমেই চার ছক্কার মুষলধারে বৃষ্টি নামিয়ে আনল আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের বোলারদের ছাতুপেটা করে বাউন্ডারির তুমুল বৃষ্টিতে বিশাল সংগ্রহের দিকে ছুটছিল সফরকারীরা। একটা সময় মনে হচ্ছিল আগের ম্যাচের ১৮১ রানেরও বেশি লক্ষ্য তাড়া করতে হবে লিটন দাসদের। তবে মাঝের দিকে আইরিশদের লাগাম টেনে ধরে লক্ষ্য অন্তত ধরাছোঁয়ার মধ্যেই রাখল বাংলাদেশ। ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করেছে তাঁরা। তাতে সিরিজ হার ঠেকানোর ম্যাচে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৭১ রান। 

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তিন পরিবর্তন নিয়ে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ খেলা জাকের আলী, রিশাদ হোসেন ও শরীফুল ইসলামের জায়গায় একাদশে সুযোগ পান নুরুল হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মেহেদী হাসান। টসে হেরে প্রথম ম্যাচের মতোই ফিল্ডিংয়ে নামে লিটন দাসের দল। 

মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথম ওভারেই ১৩ রান তুলে তাণ্ডবের আভাস দিয়ে রাখে আয়ারল্যান্ড। নাসুম আহমেদের ওভার থেকে আসে ১৪ রান। আইরিশদের বেদম পিটুনির ভয়ে বুঝি স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটও ভয় পেয়ে যায়। তৃতীয় ওভারে এক বল হওয়ার পর ফ্লাডলাইড–বিভ্রাটে খেলা বন্ধ থাকে। ১০ মিনিট বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা।

তবে আয়ারল্যান্ডের ঝড় থামার যেন কোনো নাম-গন্ধই নেই। পাওয়ার প্লেতে স্কোরবোর্ডে ৭৫ রান তুলে তারা। টি–টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে আয়ারল্যান্ডের এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর, বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ।  

পল স্টার্লিংয়ের বিদায়ে ৫৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও রানের ফোয়ারায় বাঁধ দিতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৪ বলে ২৯ রান করেন অধিনায়ক স্টার্লিং। আয়ারল্যান্ডে দলীয় রান যখন ৮৮, নবম ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসানের বলে স্টাম্পড হন টিম টেক্টর। ২৫ বলে ৩৮ রান করেন টিম।

দ্বিতীয় উইকেট পতনের পরই রানের গতি অনেকটা ধীর হয়ে আসে আয়ারল্যান্ডের। মেহেদী হাসানের একই ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন টিম টেক্টরের ভাই হ্যারি টেক্টরও। ১০ ওভারে আয়ারল‍্যান্ডের রান ৩ উইকেটে ৯৭।

১১ ওভারে আয়াল্যান্ডের আরেকটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৯ বলে ৭ রান করা বিন কালিৎজকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান মেহেদী। দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে কিছুটা সাবধানী ব্যাটিং করেন পঞ্চম উইকেটে লর্কান টাকার- জর্জ ডকরেল জুটি। তাদের ৫৬ রানের জুটি শেষ সাইফউদ্দিনের বলে তানজিদ হাসানের তালুবন্দি হয়ে ২১ বলে ১৮ করা ডকরেল ফিরলে। 

১৮ ওভারে ১৫০ পার করা আয়ারল্যান্ড শেষ দুই ওভারে তুলে ২৪ রান। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে টাকার করেন আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৪১ রান। 

বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার মেহেদী হাসান। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন ৩০ বছর বয়সী ডানহাতি স্পিনার।