খেলার খবর

পাঁচ স্পিনারকে দিয়ে বল করিয়ে ইতিহাস গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত এক দশক ধরে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের পিচ যেন এক অসামাধানযোগ্য রহস্য। বাইরে থাকা আসা বিভিন্ন দল তো বটেই, দেশের ক্রিকেটাররাও এখানে খেলতে রীতিমতো হিমশিম খান। অতিরিক্ত স্পিন সহায়ক হওয়ায় এর আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও শিরোনাম হয়েছে মিরপুরের পিচ।

সম্প্রতি মিরপুর স্টেডিয়ামের মূল কিউরেটর পরিবর্তন করে বিশ্বখ্যাত কিউরেটর টনি হেমিংকে এনে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তনের আশা দেখিয়েছিল বিসিবি। তবে হেমিংয়ের প্রস্তুতকৃত ‘কালো পিচ’ আরও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দেখা গেল, আগের চেয়েও স্পিন সহায়ক হয়ে উঠেছে মিরপুরের পিচ।

স্পিন সহায়ক পিচের প্রভাব পড়েছে দুই দলের পারফরম্যান্স এবং পরিকল্পনায়ও। ম্যাচের আগের দিন অর্থাৎ গতকাল (২০ অক্টোবর) স্পিন সামলানোর জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট ব্যাট দিয়ে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও দেখা গেছে শুধু স্পিন বলের অনুশীলনে মনোযোগ দিতে। ম্যাচে দুদলের পরিকল্পনাকে ঘিরেও স্পিন।

বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুদলই আজ (২১ অক্টোবর) চারজন করে জেনুইন স্পিনার নিয়েছে একাদশ। দুদলেরই একজন করে আছে পার্ট টাইম স্পিনার। আর এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টস হেরে বোলিংয়ে নেমে ৩৬ ওভার পর্যন্ত পুরোটাই স্পিনার দিয়ে বোলিং করিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এদিকে, ৪ স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমে আজ প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে সর্বশেষ এমন চার স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছিল টাইগাররা, দিনের হিসেবে যা ১ হাজার ১৯৩ দিন। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে হওয়া সেই ম্যাচের মতো আজকের ম্যাচেও বাংলাদেশের একমাত্র পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।

প্রতিপক্ষের মাঠে হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। স্পিন সহায়ক উইকেটে ম্যাচটিতে তাইজুল ইসলাম ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন। তার ঘূর্ণিতে মাত্র ১৬৮ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক ক্যারিবীয়রা। সেই ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৪ উইকেট এবং ৯ বল হাতে রেখে।

অন্যদিকে, আজকের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম যে পাঁচ বোলার ব্যবহার করেছে তাদের সবাই স্পিনার। দুই পেসার একজন পেসার জাস্টিন গ্রিভস এবং একজন পার্ট টাইম পেসার শেরফান রাদারফোর্ড থাকলেও তাদেরকে প্রথম ৩৬ ওভারে বল দেওয়া হয়নি। আইসিসির ফুল মেম্বার দেশগুলোর খেলায় এটি দেখা গেল প্রথমবার।

বাংলাদেশের একাদশ: সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ : ব্রেন্ডন কিং, অলিক আথানাজে, কেসি কার্টি, শাই হোপ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শেরফান রাদারফোর্ড, অ্যাকিম অগাস্তে, রোস্টন চেজ, জাস্টিন গ্রিভস, গুদাকেশ মোতি, খারি পিয়েরে ও আকিল হোসেন।