শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬ হাজার ২৮২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৭ হাজার ১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। এতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫৫০ ডলার ছাড়িয়েছে। প্রতিবেদন লেখার সময় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছে ২ হাজার ৫৭৭ দশমিক ৭০ ডলারে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম একদিনে ১৯ দশমিক ৪০ ডলার বা শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে বিশ্ববাজারে কেনাবেচা চলছে।
বাজুসের এক সদস্য সময় সংবাদকে জানান, বিশ্ববাজারে যে হারে দাম বাড়ছে, এতে যে কোনো সময় প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়ে দেশের বাজারেও। ফলে দেশের বাজারেও দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৬২১ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৬ হাজার ৩২১ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩ হাজার ৩৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৫ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৩৮ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২২ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১৬ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।