আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সরকারি ও বিশেষায়িত ৮টি ব্যাংকের এমডি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার পর এখনও নতুন নিয়োগ দেয়া হয়নি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। গত সেপ্টেম্বরে একযোগে ৬টি ব্যাংক এবং এর আগে আগস্টে পল্লী সঞ্চয় ও আনসার ভিডিপি ব্যাংকে শূন্য হয়ে পড়ে শীর্ষ কার্যনির্বাহীর চেয়ার।
এরপর থেকে ব্যাংকগুলোর ডিএমডি পদে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে সিনিয়র বা সমব্যাচের যে কোন একজনকে এমডির অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ব্যাংকগুলো হলো: অগ্রণী, সোনালি, জনতা, রূপালী, বিডিবিএল, বেসিক, পল্লি সঞ্চয় ও আনসার ভিডিপি।
ব্যাংকগুলোর কর্তৃপক্ষ জানায়, জনবল, ঋণ ব্যবস্থাপনা, হিসাব, অভ্যন্তরীণ পলিসি ও কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকে এমডি ও সিইওর। কিন্তু এসব নতুন নিয়োগ না দেয়ায় বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো।
এমডি শূন্যতায় নানা সীমাবদ্ধতার কথা জানান অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া প্রবীণ ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ। তিনি বলেন, ব্যাংকে এমডি না থাকায় সিনিয়র বা সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা এমডির দায়িত্বপালন করছেন। তাদের পক্ষে সব কাজ গুছিয়ে আনা একটু কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ব্যাংক খাতে যে অর্থ লোপাট হয়েছে, তা উদ্ধার ও সংস্কারে যখন শক্ত অবস্থান প্রয়োজন, তখন সরকারি ব্যাংকেই নেই এমডি ও সিইও।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে বর্তমান বা সাবেক দক্ষ ব্যাংকারদের। অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, সরকারি ও বিশেষায়িত ৮ ব্যাংকে দ্রুত গতিশীলতা আনতে হবে। এজন্য বর্তমান বা সাবেক দক্ষ ব্যাংকারদের নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।
এদিকে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তথ্য, চলতি সপ্তাহেই এমডি নিয়োগ চূড়ান্ত হতে পারে সরকারি ব্যাংকগুলোতে।