
বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসে চালের দাম কমতে পারে।
জিইডির সেপ্টেম্বর মাসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে চালের মূল্যস্ফীতি দ্বিগুণ অংকে রয়ে গেছে, যা এ বছরের জুনে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশে।
দানার আকার ও গঠনের ভিত্তিতে চালের তিনটি ধরন—মোটা, মাঝারি ও আতপ। এসব চালের মূল্যস্ফীতি টানা তিন মাস ধরে ১৫ শতাংশের ওপরে ছিল।
তবে, আগস্ট মাসে শুধুমাত্র মাঝারি চালের মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে, যা জুলাই মাসের ১৫ দশমিক ৩২ শতাংশ থেকে সামান্য কম।
যদিও বোরো মৌসুমের ধান—যা বাংলাদেশের বার্ষিক চাল উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি—ওঠার পর দাম কমার প্রত্যাশা ছিল, বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি।
জিইডি মন্তব্য করেছে, উৎপাদন, চাহিদা ও মজুতের বাস্তবসময়ের তথ্য থাকলে সরকার আরও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারত। তবে জুলাইয়ের শেষের দিকে বাজার পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, সরকার এ বছর মোট ১৭ লাখ টন বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ করেছে।
১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের শস্য সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ২ লাখ টনে, যার মধ্যে রয়েছে ১৭ দশমিক ২ লাখ টন চাল, ৮১ হাজার ৭১১ টন গম ও ১৯ হাজার ৫৩৩ টন ধান।
আগস্টে বাজার স্থিতিশীল করার জন্য সরকার ৫ লাখ টন চাল শুল্কমুক্ত আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
বেসরকারি আমদানিকারকরা ১২ আগস্ট থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে।
এ বছর ১ জুলাই থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ লাখ ৭৪ হাজার টন চাল বিতরণ করা হয়েছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ের ৩ লাখ ১০ হাজার টনের তুলনায় অনেক বেশি।
জিইডি বলছে, এসব অগ্রগতির ফলে যদি কোনো বড় ধরনের সরবরাহ-সংকট না ঘটে তবে আগামী কয়েক মাসে চালের দাম কমতে পারে।