চট্টগ্রাম কাস্টমসে সফটওয়্যার জটিলতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। পাশাপাশি জরিমানার আশঙ্কা করছেন ব্যবহারকারীরা। সিস্টেমের আপগ্রেডেশনের কারণে এ সমস্যা জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, সকাল ও রাতের অফপিক সময়ে কাজ করে সংকট কাটানোর চেষ্টা চলছে।
আমদানি-রফতানি পণ্য চালানের নথি দাখিলের জন্য প্রায় প্রতিদিনই চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে রাজস্ব কর্মকর্তাদের টেবিলে টেবিলে উপচেপড়া ভিড় সিএন্ডএফ এজেন্টদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর আইজিএম চেক করতে পারলেও কম্পিউটার থেকে সার্ভার জটিলতার কারণে পণ্য চালানের অ্যাসেসমেন্ট সম্ভব হচ্ছে না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনসহ কেউ যথাসময়ে কাজ করতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। তারা জানান, সার্ভার খুবই ধীরগতিতে চলার কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না। এতে বাড়ছে ভোগান্তি।
সিস্টেমের আপগ্রেডেশনের কারণে এ সমস্যা জানিয়ে কাস্টমস বলছে, সকাল ও রাতের অফপিক সময়ে কাজ করে সংকট কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে । চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সিস্টেম অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ হাসান উজ-জামান খান বলেন, সার্ভারটি নিয়ন্ত্রণ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সমস্যা সমাধানে প্রতিষ্ঠানটি দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে।
তবে এক্ষেত্রে এনবিআরের উদাসীনতাকে দায়ী করে বিকল্প রাস্তারও ব্যবস্থা রাখার দাবি ব্যবহারকারীদের। চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হক খান বলেন, আপগ্রেড ভার্সনটিকে আরও সহজ ও দ্রুতগতির করতে হবে। সেটি যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আগের ভার্সনটিকে চালু রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে আন্তর্জাতিক অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম চালু করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ।